ফরিদপুরের ৪টি সংসদীয় আসনে মোট প্রার্থী ছিলেন ২১ জন। এর মধ্যে ‘কিংস পার্টি’–খ্যাত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরসহ মোট ১৩ প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। অর্থাৎ, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রায় ৬২ ভাগ প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ পাননি।
শাহ আবু জাফর বিএনপির নেতা ছিলেন। নির্বাচনের আগে তিনি বিএনপির ছেড়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে (বিএনএম) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হন। পরে বিএনপি তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে।
ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা, মধুখালী) আসনে মোট ভোট পড়েছে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৫১৫টি। জামানত রক্ষা করতে হলে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ হিসাবে ২৯ হাজার ৬৮৯ ভোটের কম যাঁরা পেয়েছেন, তাঁরা জামানত হারাচ্ছেন।
ফরিদপুর-১ আসনে প্রার্থী ছিলেন পাঁচজন। তাঁদের মধ্যে তিনজন জামানত হারাচ্ছেন। তাঁরা হলেন বিএনএম প্রার্থী শাহ মো. আবু জাফর, জাতীয় পার্টির মো. আক্তারজ্জামান খান ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. নুর ইসলাম সিকদার। শাহ মো. আবু জাফর ভোট পেয়েছেন ২২ হাজার ৪৬৫টি, মো. আক্তারজ্জামান খান পেয়েছেন ১ হাজার ৩৫৯ এবং নুর ইসলাম সিকদার পেয়েছেন ১ হাজার ৮৮৯ ভোট।
ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা, সালথা) আসনে মোট প্রার্থী ছিলেন তিনজন। তাঁদের মধ্যে জামানত হারাচ্ছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মো. জয়নুল আবেদীন বকুল মিয়া। তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ৯৬২টি ভোট। জামানত রক্ষা করতে তাঁর ভোট পাওয়ার প্রয়োজন ছিল ২২ হাজার ৮১টি।
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে মোট প্রার্থী ছিলেন ছয়জন। জামানত রক্ষা করতে এ আসনে প্রত্যেক প্রার্থীর ভোট পাওয়ার প্রয়োজন ছিল ২৬ হাজার ৬২৮টি করে। জামানত হারাচ্ছেন বিএনএমের গোলাম রব্বানী খান। তিনি পেয়েছেন মাত্র ২৯২টি ভোট। বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. দেলোয়ার হোসেন পেয়েছেন ৩২১টি ভোট। অপর দুই প্রার্থী জাতীয় পার্টির এস এম ইয়াহিয়া (৫৮৩ ভোট) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের এম এ মুঈদ হোসেন (৪৪১টি ভোট)।
ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন) আসনে সাত প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন জামানত হারাচ্ছেন। জামানত রক্ষা করতে এ আসনের প্রত্যেক প্রার্থীর ভোট পাওয়ার দরকার ছিল ৩৪ হাজার ৬৬৯টি করে। জামানত হারাচ্ছেন বাংলাদেশ কংগ্রেসের নাজমুন নাহার (৫৩৬ ভোট), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মাকসুদ আহম্মেদ মাওলা (৪০১ ভোট), জাতীয় পার্টির মো. আনোয়ার হোসেন (৬০৬ ভোট), তৃণমূল বিএনপির প্রিন্স চৌধুরী (৪৫৮) এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. আলমগীর কবির (১৭৮ ভোট)।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, জামানত রক্ষা করতে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের ন্যূনতম এক ভাগ পেতে হয়। যেসব প্রার্থী ওই পরিমাণ ভোটের তুলনায় কম ভোট পেয়েছেন, তাঁরা জামানতের টাকা ফেরত পাবেন না।