বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, সরকার দেশটাকে চোরের জাদুঘরে পরিণত করেছে। পদ্মা সেতু ১০ হাজার কোটি টাকায় নির্মাণ করার কথা। কিন্তু সেখানে লেগেছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। দুর্নীতি আর সীমাহীন লুটপাটের কারণে পদ্মা সেতুর ব্যয় বেড়েছে তিন গুণ।
বিদ্যুতের লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বরিশাল দক্ষিণ ও উত্তর জেলা বিএনপি আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আলতাফ হোসেন চৌধুরী এসব কথা বলেন। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে নগরের সদর রোডে অশ্বিনীকুমার হলসংলগ্ন বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সরকার বিদ্যুৎ খাতে সীমাহীন কারচুপি করেছে—এমন অভিযোগ তুলে সমাবেশে সাবেক এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকারের কারচুপি ও দুর্নীতির কারণে দেশে এখন বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ভয়াবহ সংকট দেখা দিয়েছে। কুইক রেন্টালের পেছনে সরকার বছরে ১৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। এই ভর্তুকির অর্থ সরকারি দলের লুটেরাদের পকেটে ঢুকেছে। এত ভর্তুকি দিয়েও বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করতে পারেনি সরকার। ভর্তুকির নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে, দেশ থেকে এসব অর্থ পাচার করা হয়েছে। সরকার ১৭ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এতে সর্বস্তরের মানুষ ক্ষুব্ধ ও সর্বস্বান্ত।
আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগিরই সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের ডাক দেবেন। এ জন্য তিনি দলের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান। আজ্ঞাবহ প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়ে এই সরকার আবার পাতানো নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সরকারকে পদত্যাগ করতে বলেন এই নেতা।
বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস আক্তার জাহান, কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান ও মাহাবুবুল হক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজবা উদ্দিন, আবুল হোসেন খান ও এবায়দুল হক, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মজিবর রহমান, সদস্যসচিব আক্তার হোসেন প্রমুখ।