সিরাজগঞ্জের চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলায় বজ্রপাতে তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে চৌহালী উপজেলার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের বেতিল চরে এবং শাহজাদপুর উপজেলার চর পোরজনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন চৌহালী উপজেলার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের বেতিল চর এলাকার আবদুল হাকিমের ছেলে মারুফ হোসেন (১৪), তারা মিয়ার ছেলে আল আমিন (২৮) ও শাহজাদপুর উপজেলার চর পোরজনা গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে কৃষক আবদুস সালাম (৩৭)। বজ্রপাতে আহত হয়েছে দুই শিশু। তারা হলো চৌহালী উপজেলার বেতিল চর এলাকার ময়েন উদ্দিনের ছেলে সিয়াম (৭) ও বেলাল হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান (৮)। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে চৌহালী উপজেলার বেতিল চর এলাকায় শিশু-কিশোর ও এলাকার প্রাপ্তবয়স্করা মিলে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে ফুটবল খেলছিল। এ সময় হঠাৎ বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে শিশুসহ চারজন আহত হয়। স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিত্সক মারুফ হোসেন ও আল আমিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে বেতিল চরের একটি মাঠে তাঁরা সবাই ফুটবল খেলছিলেন। তখন হঠাৎ বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি বজ্রপাতে শিশুসহ চারজন ঝলসে যায়। এরপর তাঁদের স্থানীয় খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে দুজনের মৃত্যু হয়। আহত অপর দুজনকে প্রাথমিক চিকিত্সা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
একই সময় শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের চর পোরজনা গ্রামে খেত থেকে ধানের বোঝা মাথায় নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান আবদুস সালাম। শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বজ্রপাতে কৃষক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আকতারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বজ্রপাতে নিহতদের পরিবারকে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ তহবিল থেকে সহায়তা করা হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নিহতদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।