আঘাতের পর শ্বাসরোধ

শিশুটিকে কেন এভাবে হত্যা করল, বুঝতে পারছে না পরিবার

হত্যা
প্রতীকী ছবি

নরসিংদীর মনোহরদীতে নিখোঁজের পরদিন মো. জোবায়েদ মিয়া (১২) নামে এক স্কুলশিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার গাংকুলকান্দি গ্রামের একটি খেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত জোবায়েদ মনোহরদী উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের মো. মোরশেদ মিয়ার ছেলে। স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত সে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন বলেন, গতকাল বিকেলের দিকে গাংকুলকান্দি গ্রামে মুষলধারে বৃষ্টি হয়। সন্ধ্যার একটু আগে বৃষ্টি কমে এলে স্থানীয় লোকজন ঘাসের খেতে এক শিশুর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাকির হোসেন আকন্দ ঘটনাস্থলে যান। তাঁর কাছ থেকে খবর পেয়ে মনোহরদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কবির উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করেন। শিশুটির লাশ শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা। এ সময় তাঁরা পুলিশকে বলেন, মঙ্গলবার রাত ৯টার পর থেকে জোবায়েদ নিখোঁজ ছিল। কেন তাকে এভাবে হত্যা করা হলো, কিছুই বুঝতে পারছেন না তাঁরা।

মঙ্গলবার রাত ৯টার পর থেকে জোবায়েদ নিখোঁজ ছিল।

এসআই কবির উদ্দিন বলেন, শিশুটি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ছাড়া পরনের শার্টটি ছিল ছেঁড়া। ছেঁড়া শার্টের ডান হাতার অংশটি ছিল গলায় প্যাঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, ভোঁতা ধাতব কোনো কিছুর সাহায্যে তার মাথায় আঘাত করার পর অচেতন হয়ে গেলে পরনে থাকা শার্টের একটি হাতা ছিঁড়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় তাকে। পরে ওই অবস্থায়ই তাকে ঘাসের ওপর ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে হত্যাকারীরা।

লেবুতলা ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন আকন্দ বলেন, ওই শিশুর ওপর কাদের এত ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল যে এভাবে হত্যা করল, কেন তাকে হত্যা করল; পুলিশকেই তা খুঁজে বের করতে হবে।

মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন জানান, নিহত শিশু জোবায়েদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটন ও হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে এরই মধ্যে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এ ঘটনায় নিহত শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে।