সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে এক কয়েদির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কারাগারের অভ্যন্তরের একটি ওয়ার্ডে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দুই কারারক্ষীসহ তিনজনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
মারা যাওয়া ওই কয়েদিন নাম মো. ইউনুস আলী (২২)। তিনি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কলীবাড়ি গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে। তিনি একটি মাদক মামলায় দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। প্রায় ৬ মাস ধরে তিনি কারাগারে ছিলেন। এর আগেও তিনি প্রায় দুই মাস কারাগারে থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। তিনি সিজোফ্রেনিয়া (জটিল মানসিক রোগ) রোগে আক্রান্ত ছিলেন বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
লাশ আগামীকাল মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন কারাগারের কর্মকর্তারা।
ইউনুস আলী চাচা মো. ফয়জুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে তাঁরা দুপুরে সিলেটের সিলেট বাদাঘাট এলাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়েছিলেন। সেখানে যাওয়ার পর তাঁর ভাতিজা ইউনুস আলী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানানো হয়। পরে লাশ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে হিমাগারে রাখা হয়। আগামীকাল মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন কারাগারের কর্মকর্তারা।
সিলেট বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক মো. ছগির মিয়া বলেন, ইউনুস আলী দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি ছিলেন। তিনি সিজোফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্ত ছিলেন। প্রাথমিকভাবে তিনি নিজে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে দুই কারারক্ষী এবং একজন সহকারী হেড ওয়ার্ডকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।