লালমনিরহাটে শিখো- প্রথম আলো জিপিএ ৫ কৃতী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পদক হাতে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা
লালমনিরহাটে শিখো- প্রথম আলো জিপিএ ৫ কৃতী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পদক হাতে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা

লালমনিরহাটে জিপিএ-৫ সংবর্ধনা

মেধাকে জাতির সেবায় কাজে লাগাতে হবে

মেধাবী ও কৃতী শিক্ষার্থীদের মেধাকে জাতির সেবায় কাজে লাগাতে হবে, শুধু নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকলে চলবে না। তাদের অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে, নেতৃত্ব দিতে হবে। তাহলে এ দেশটা সত্যিকারের সোনার বাংলায় রূপান্তরিত হবে।

শিখো–প্রথম আলো জিপিএ–৫ প্রাপ্তদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কৃতী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। আজ মঙ্গলবার সকালে লালমনিরহাট জেলা পরিষদ অডিটরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সকাল ১০টায় অনুষ্ঠানের শুরুতে আরডিআরএস বাংলাদেশ লালমনিরহাটের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কেন্দ্রের একদল শিশুশিল্পী জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে। এ সময় কমিউনিটি সেন্টারে উপস্থিত কৃতী শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, অতিথিসহ লালমনিরহাট প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্যরা দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। এরপর সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিহত ছাত্র–জনতার আত্মার শান্তি কামনায় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

লালমনিরহাট প্রথম আলো বন্ধুসভার সহসভাপতি ফারাহ নাজ নাহারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য ও প্রথম আলো সম্পাদকের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রথম আলোর লালমনিরহাট প্রতিনিধি আবদুর রব। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা উন্নয়ন আন্দোলন পরিষদের আহ্বায়ক সুপেন্দ্র নাথ দত্ত, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি, সহকারী অধ্যাপক আবু হাসনাত, নারী অধিকার সংগঠক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব স্বপ্না জামান। বক্তব্য দেন লালমনিরহাট সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ও ‘আইপিডিসি প্রথম আলো প্রিয় শিক্ষক’ সন্মাননাপ্রাপ্ত তৌহিদ উল ইসলাম।

লালমনিরহাটে শিখো- প্রথম আলো জিপিএ ৫ কৃতী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পদক হাতে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা

শিক্ষার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করান এবং প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হকের বক্তব্য পাঠ করেন প্রথম আলোর কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি শফি খান। শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুষ্ঠানে অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেয় লালমনিরহাট ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের কৃর্তী শিক্ষার্থী সিদরাতুল মুনতাহা ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি বিএল উচ্চবিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষার্থী মো. হাফিজুল ইসলাম। কবিতা আবৃত্তি করেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী খন্দকার নাবিলা তাবাসসুম। অনুষ্ঠানে নৃত্য ও একক সংগীত পরিবেশন করেন লালমনিরহাট ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ঐশিকা বর্মণ।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন আরডিআরএস বাংলাদেশ লালমনিরহাটের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কেন্দ্রের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সংগীতশিল্পী পূজা রায়, আরশী নগর বাংলাদেশের শাহানুর ইসলাম ও মন্দিরা শিল্পীগোষ্ঠীর সুজন চক্রবর্তী ও ঐশিকা বর্মণ।

‘স্বপ্ন দেখো জীবন গড়ো’ স্লোগান নিয়ে দেশের ৬৪টি জেলায় জিপিএ–৫ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এবারের উৎসবটি পাওয়ার্ড বাই বিকাশ। সহযোগিতায় কনকর্ড গ্রুপ, ফ্রেশ, বহুব্রীহি, সানকুইক, কনকা গ্রি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ, এটিএন বাংলা ও প্রথম আলো বন্ধুসভা।