টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় একটি গাভি একসঙ্গে তিনটি বাছুর প্রসব করেছে। গত বুধবার দুপুরে উপজেলার সংগ্রামপুর গ্রামের এক বাড়িতে পালন করা গাভি এই তিন বাছুর জন্ম দেয়। স্থানীয় লোকজন বাছুর তিনটি দেখতে গাভির মালিকের বাড়িতে এখনো ভিড় জমাচ্ছেন।
গাভির মালিক কবির হোসেন জানান, তিনি দুই বছর আগে ৮০ হাজার টাকায় গাভিটি ক্রয় করেন। এরপর গাভিটি একবার একটি বাছুর জন্ম দেয়। পরে আবার গাভি গর্ভধারণ করে। বুধবার এটি তিনটি বাছুর প্রসব করে। এর মধ্যে একটি ষাঁড় ও দুটি বকনা বাছুর।
কবিরের স্ত্রী মর্জিনা আক্তার বলেন, গাভিটি লালনপালনের উদ্দেশ্যে ক্রয় করা হয়। তাঁর স্বামী রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। তিনি (মর্জিনা) নিজেই গাভিটি লালনপালন করেন। গাভিটি দেশি জাতের হওয়ায় বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়নি। খড় ও ঘাস দিলেই চলে। এর আগে গাভি একটি বাছুর জন্ম দিলেও এবার তিনটি বাছুর প্রসবে তিনি ভীষণ খুশি।
সংগ্রামপুর গ্রামের আজমত আলী বলেন, ‘গরু সাধারণত একটি বাছুর প্রসব করে। শুনেছি, কখনো কখনো দুটি বাছুর হয়। কিন্তু এবার প্রথম তিনটি বাছুর প্রসব করতে দেখলাম।’
সংগ্রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘কবির হোসেনের পালিত গাভির তিনটি বাছুর প্রসবের খবর শুনে আমি অবাক হয়েছি। পরে নিজে গিয়ে বাছুর তিনটি দেখে এসেছি। আমার মতো আশপাশের এলাকার অনেক মানুষ কবির হোসেনের বাড়িতে যাচ্ছেন গরুর বাছুর তিনটি দেখতে।’
প্রাণী পল্লি চিকিৎসক মিজানুর রহমান জানান, তিনি এই গাভিতে ভিনদেশি জাতের বীজ দিয়েছিলেন। তাতে তিনটি বাছুর একসঙ্গে প্রসব হয়েছে। অন্য রকম এক অভিজ্ঞতার সাক্ষী হলেন তিনি।
টাঙ্গাইল জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. রানা মিয়া জানান, মানুষের যেমন তিন বা চারটি বাচ্চা হয়, গরুরও তেমন হতে পারে। এটি অলৌকিক কোনো বিষয় নয়। একাধিক বাছুর হওয়া ব্যতিক্রম হলেও অস্বাভাবিক নয়।