ফরিদপুরে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে ডিম বিক্রি করায় এক ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। আজ শনিবার সকালে অভিযান পরিচালনা করেন জেলা ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখ।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ফরিদপুর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় জেলা ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়।
এই সময় সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে তিন টাকা বেশি দামে প্রতিটি ডিম বিক্রি করায় ফরিদপুর শহরের চকবাজার ডিম ব্যবসায়ী একতা ট্রেডার্সের মালিক মো. জাহিদ হাসানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এই বিষয়ে জেলা ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখ জানান, সরকারিভাবে প্রতিটি ডিমের খুচরা মূল্য ধরা হয়েছে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা। কিন্তু ওই ব্যক্তি তার থেকে বেশি দামে ডিম বিক্রি করছিলেন। পাশাপাশি তিনি ডিম কেনা ও বেচার রসিদ দেখাতে পারেননি। ফলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪০ ধারায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে তাৎক্ষণিকভাবে আদায় করা হয়। পরে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের ওই আভিযানিক দল চকবাজারসহ ফরিদপুরের বিভিন্ন বাজারের ডিমের দোকানে সরকার নির্ধারিত ডিমের মূল্যতালিকা লটকিয়ে দেন।
বেশি দামে ডিম বিক্রির কারণ জানতে চাইলে ফরিদপুর হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজারের পাইকারি ডিম ব্যবসায়ী মো. মোবারক ব্যাপারী আজ শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, সম্প্রতি অসহনীয় গরম পড়ায় অনেক মুরগি মরে গেছে। এ ছাড়া ১৩টি জেলায় বন্যায় অনেক খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এই কারণে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় ডিমের দাম বেড়েছে।
মোবারক ব্যাপারী বলেন, আজ শনিবার রাজবাড়ী এক খামারির কাছ থেকে প্রতিটি ডিম পাইকারি ১২ টাকা ৭০ পয়সা করে কেনা হয়েছে। এই দামে কিনে সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রি কীভাবে সম্ভব, তা তিনি বুঝতে পারছেন না।