অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে যে ঘোষণা দিয়েছেন, তা সঠিক বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিটির প্রধান ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। আজ বুধবার সন্ধ্যায় রংপুর জেলা সার্কিট হাউসে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বদিউল আলম মজুমদার এই মত দেন।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গত সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।’
এই বক্তব্যের প্রসঙ্গে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি আশা করব, এটি সঠিক সিদ্ধান্ত। আমরা সর্বতোভাবে চেষ্টা করব, যাতে এই সময়সীমার মধ্যে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়।’
নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিটির সুপারিশের আগে নির্বাচন কমিশন গঠন হওয়ায় সংস্কারে কোনো প্রতিবন্ধতা হবে কি না, সাংবাদিকের এই প্রশ্নে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমাদের কাজ সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরা। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের আলাপ-আলোচনা হবে। তখন চিহ্নিত হবে কোন কোন সংস্কার হবে। যেগুলোর ব্যাপারে তাঁরা ঐকমত্যে পৌঁছাবে, সেগুলো নির্বাচন কমিশন, সরকার ও রাজনৈতিক দল বাস্তবায়ন করবে।’
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পক্ষপাতদুষ্ট নয়। তাই আগামীতে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়, তাদের কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা হবে না। ‘না’ ভোটের পক্ষে জনসমর্থন আছে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিটির প্রধান জানান, ‘এটি ফিরে আসার সম্ভাবনা আছে। যদিও আমরা এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচন, নাকি স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে হবে—এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বদিউল আলম বলেন, ‘কেউ জাতীয়, কেউ স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে চায়। কেউ চায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন সংবিধানে যুক্ত হবে, তখন দুটো নির্বাচনেই একসঙ্গে করতে। আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি। একটু অপেক্ষা করতে হবে।’
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে সুধীজনদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিটির মতবিনিময় সভা হবে। এই সভায় যোগ দিতে বদিউল আলম মজুমদার বুধবার সন্ধ্যায় রংপুরে আসেন।