নরসিংদীর শিবপুরে একটি চলন্ত বাসের দরজা থেকে অসতর্কতাবশত ছিটকে পড়েন চালকের সহকারী। এরপর ওই বাসেরই পেছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। দুর্ঘটনার পরপরই সেখানে বাস রেখেই চালক পালিয়ে যাওয়ায় তাঁর নাম-পরিচয় জানা যাচ্ছিল না। আজ শুক্রবার সকালে নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কারারচর এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ওই চালকের সহকারীর নাম শামীম হোসেন (৪২)। তিনি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার নয়াপাড়া এলাকার মৃত সোহরাব হোসেনের ছেলে। ঢাকা-সিলেট রুটে চলাচল করা যাত্রীবাহী মিতালী পরিবহনের একটি বাসে চালকের সহকারীর কাজ করতেন তিনি।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে মিতালী পরিবহনের বাসটি যাত্রী নিয়ে সিলেটের দিকে যাচ্ছিল। বিকেল ৪টার দিকে মহাসড়কটির কারারচর এলাকা অতিক্রম করার সময় চালকের সহকারী শামীম হোসেন দরজায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। অসতর্কতাবশত তিনি মহাসড়কে ছিটকে পড়ে গেলে বাসটির পেছনের চাকায় তাঁর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পিষ্ট হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
তাৎক্ষণিক বাস থামিয়ে চালকসহ কয়েকজন যাত্রী নেমে এসে দেখতে পান শামীম আর বেঁচে নেই। পরে বাস সেখানে রেখেই চালক পালিয়ে যান। অন্য যাত্রীরাও একে একে যে যাঁর মতো সটকে পড়েন। মাত্র একজন যাত্রী সেখানে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন, যার কিছু মালামাল ওই বাসের বক্সের ভেতরে রাখা ছিল।
স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক কবির হোসেন ভূঁইয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেন। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর নিহত ব্যক্তির লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ছাড়া বাসটিও জব্দ করে হাইওয়ে ফাঁড়িতে নেওয়া হয়।
উপপরিদর্শক কবির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থেকে এসে নিহত ব্যক্তির ভাই শাহীন হোসেন নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে গিয়ে তাঁর লাশ শনাক্ত করেন। আজ শুক্রবার দুপুরের মধ্যেই লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।