সাতক্ষীরার দেবহাটা থানায় করা বিস্ফোরক ও চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউল ইসলাম তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।
রঘুনাথ খাঁ দীপ্ত টেলিভিশনের ও বাংলা ’৭১ নামের একটি পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি। তাঁর বাড়ি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামে। তিনি সাতক্ষীরা শহরের লস্করপাড়া ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।
আদালত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আহমেদ আনারুল জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সন্ধ্যায় সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ কারাগার থেকে মুক্তি পান বলে তাঁর স্ত্রী সুপ্রিয়া রানী খাঁ জানিয়েছেন।
রঘুনাথ খাঁর আইনজীবী জিয়াউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউল ইসলামের আদালতে সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁর জামিনের আবেদন করা হয়। বেলা আড়াইটার দিকে দুই পক্ষের শুনানির পর আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। রঘুনাথ খাঁর পক্ষে তাঁর সঙ্গে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন মিজানুর রহমান, অসিম কুমার মণ্ডল, সফিউল ইসলাম ও প্রবীর মুখার্জী।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ ওবায়দুল্লাহ জানান, ২৩ জানুয়ারি দেবহাটার সাপমারা খালের সেতুর ওপর গাছের গুঁড়ি ফেলে অন্তর্ঘাতমূলক কার্যক্রম ঘটানোর লক্ষ্যে কয়েকজন দুষ্কৃতকারী অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুষ্কৃতকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ করে পালানোর চেষ্টা করলে রঘুনাথ খাঁসহ তাঁর দুই সহযোগীকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতে এসআই লালচাঁদ বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে মামলা করলে তাঁকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ছাড়া চাঁদাবাজির অভিযোগে দেবহাটার শিমুলিয়া গ্রামের কাজী সুরুজ ওয়ারেশ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেন। ২৪ জানুয়ারি বিকেলে রঘুনাথ খাঁকে থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
তখন রঘুনাথ খাঁর স্ত্রী সুপ্রিয়া রানী খাঁ অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর স্বামী ২৩ জানুয়ারি সকালে দেবহাটার খলিশাখালি এলাকায় সংবাদ সংগ্রহের জন্য যান। সেখান থেকে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলে তিনি শহরে ফিরছিলেন। ওই দিন বেলা ১১টার দিকে শহরের দিবা-নৈশ কলেজের সামনে থেকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তাঁকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
সুপ্রিয়া রানী খাঁ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, আজ দুপুর আড়াইটার দিকে আদালত তাঁর জামিন দেন। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে শহরের লস্কারপাড়ার ভাড়া বাড়িতে আসেন।