চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্কের ভেতরে থাকা সুপ্তধারা ঝরনায় বেড়াতে যান সোনালী ব্যাংকের নোয়াখালী সদর শাখার তিন কর্মকর্তা। ভুল পথে গিয়ে তাঁরা গহিন জঙ্গলে হারিয়ে যান। পরে ফেরার পথ না পেয়ে উদ্ধারের আকুতি জানিয়ে ফোন করেন পুলিশের জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ। খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাঁদের উদ্ধার করেন।
আজ শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া তিন ব্যাংক কর্মকর্তা হলেন জামাল উদ্দিন (৩৪), সঞ্জয় বণিক (৩৫) ও মো. আলাউদ্দিন (৩৬)।
ফায়ার সার্ভিস সীতাকুণ্ডের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুপ্তধারা ঝরনা দেখতে সীতাকুণ্ডের ইকোপার্কে প্রবেশ করেন তিনজন। এরপর তাঁরা ইকোপার্কের ভেতরে ভুল পথে হেঁটে গহিন জঙ্গলে চলে যান। একপর্যায়ে পথ হারিয়ে ফেলেন তাঁরা। ফেরার পথ খুঁজে না পেয়ে বেলা দুইটার দিকে তাঁদের একজন জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করেন। এ সময় পথ হারিয়ে ফেলা ব্যাংক কর্মকর্তাদের সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনের ফোন নম্বর দেওয়া হয়। পরে ফায়ার স্টেশনে ফোন করলে ফায়ার সার্ভিস তাঁদের উদ্ধারে অভিযান চালায়।
অভিযানের বর্ণনা দিতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা নুরুল আলম বলেন, ফায়ার স্টেশনে ফোন করা ওই ব্যক্তিকে গুগল ম্যাপে তাঁদের অবস্থান শনাক্ত করে লিংক আকারে পাঠাতে বলা হয়। পরে ওই ব্যক্তির পাঠানো অবস্থান অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা হ্যান্ডমাইক নিয়ে রওনা দেন। গহিন জঙ্গলের ভেতরে গিয়ে হ্যান্ডমাইক থেকে সাইরেন বাজাতে থাকেন। একসময় সাইরেনের শব্দ অনুসরণ করে তাঁদের কাছে ফেরেন হারিয়ে যাওয়া তিন ব্যাংক কর্মকর্তা। তাঁদের ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে করে সীতাকুণ্ড সদরে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন পাহাড়ি ঝরনা দেখতে এসে প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে জানান নুরুল আলম। তিনি বলেন, গাইড নিয়ে ভ্রমণ করলে এ ধরনের সমস্যায় পড়তে হয় না। তবু অধিকাংশ পর্যটক খরচ বাঁচাতে গাইড নেন না। যার কারণে প্রায়ই পর্যটকদের যেমন ঝামেলায় পড়তে হয়, তেমনি উদ্ধারকারী সংস্থার সদস্যরাও ভোগান্তিতে পড়েন।