বরগুনার বেতাগীতে মিছিল করে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী খলিলুর রহমান খানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল হাই আল হাদী এই নোটিশ দেন। ২৩ এপ্রিলের মধ্যে (আজ মঙ্গলবার) তাঁকে নোটিশের লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
খলিলুর রহমান খান বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি হোসনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে বেলা ১১টার দিকে খলিলুর রহমান খান পাঁচ শতাধিক নেতা–কর্মী নিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় চত্বরে মিছিল করেন ও মহড়া দেন। তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে খলিলুর রহমান তাঁর ছেলেসহ বেশ কয়েকজন নেতা–কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল হাই আল হাদী বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় চেয়ারম্যান প্রার্থী খলিলুর রহমান খান মনোনয়নপত্র দাখিল ও পরবর্তী সময়ে মিছিল ও শোডাউন করে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার ব্যাখ্যা চেয়ে তাঁকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ২৩ এপ্রিলের মধ্যে (আজ মঙ্গলবার) তাঁকে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে খলিলুর রহমান খান গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি মনোনয়নপত্র দাখিল করব শুনে বেতাগীর বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে সাধারণ কর্মীরা আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। আমি কোনো মিছিল–মিটিং কিংবা মহড়া দিইনি। তারপরও নির্বাচন কমিশন থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। এখনো হাতে নোটিশ পাইনি।’ এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে এখানে ভোট গ্রহণ করা হবে। গত রোববার ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। আজ মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই এবং ৩০ এপ্রিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের তিনটি পদের বিপরীতে ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।