বগুড়ায় সাবেক সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা

সাহাদারা মান্নান
ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনায় গতকাল শুক্রবার সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলমের ছেলে ব্যবসায়ী শামীনুর ইসলাম মামলাটি করেন।

গতকাল সোনাতলা থানায় আরেকটি মামলা করেন সোনাতলা সদরের নতুন বন্দরের ব্যবসায়ী রাজ্জাকুল ইসলাম। তিনি তাঁর করাতকলে হামলা, ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি ছোড়ার অভিযোগ তুলে মামলাটি করেন। ৬৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩৫ জনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়। এ মামলার প্রধান আসামি সোনাতলা উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনহাদুজ্জামান লিটন।

ব্যবসায়ী শামীনুর ইসলাম তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগে বিস্ফোরক আইনে মামলাটি করেন। এ মামলায় ৮৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। সাবেক সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানকে এই মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে। এই মামলার অপর আসামিরা হলেন সোনাতলা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াছিয়া বেগম (রুনা), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক, সাংগঠনিক সম্পাদক নবীন আনোয়ার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, সোনাতলা পৌরসভার কাউন্সিলর নিপূন আনোয়ার ও সোনাতলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন চন্দ্র ঘোষ।

এর আগে ১৬ আগস্ট সাবেক সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ২০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বগুড়ার সোনাতলায় আনন্দমিছিলে হামলা করে স্কুলছাত্র সাব্বির হোসেন (১৪) হত্যার ঘটনায় এ মামলা হয়। সাব্বিরের বাবা শাহীন আলম বাদী হয়ে সোনাতলা থানায় মামলাটি করেন। এ মামলায় আরও ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

গতকাল হওয়া ব্যবসায়ী রাজ্জাকুল ইসলামের করা মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনহাদুজ্জামান লিটন ছাড়া একই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নবীন আনোয়ার, তাঁর ভাই পৌর কাউন্সিলর নিপূন আনোয়ারকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ৮ আগস্ট রাত ১১টার দিকে আসামিরা বাদীর করাতকলে ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ছাড়াও গুলি চালান ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এ হামলার ঘটনায় বাদীর প্রায় সাড়ে সাত লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।