বগুড়া জেলা কারাগারের জাফলং সেলের ২ নম্বর ওয়ার্ডের (কনডেমড সেল) ছাদ ফুটো করে পালানোর মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির প্রত্যেকের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মুমিন হাসান আজ বুধবার রিমান্ডের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে বগুড়া জেলা কারাগারের ছাদ ফুটো করে পালানোর ঘটনায় হওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর ফাঁড়ির ইনচার্জ সুজন মিঞা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত বৃহস্পতিবার আদালতে সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন।
রিমান্ড মঞ্জুর করা ওই চার আসামি হলেন কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা এলাকার নজরুল ইসলাম (কয়েদি নম্বর ৯৯৮), নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার ফজরকান্দি এলাকার আমির হোসেন (কয়েদি নম্বর ৫১০৫), বগুড়ার কাহালু পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল মান্নানের ছেলে মো. জাকারিয়া (কয়েদি নম্বর ৩৬৮৫) ও বগুড়ার কুটুরবাড়ি পশ্চিম পাড়া এলাকার ফরিদ শেখ (কয়েদি নম্বর ৪২৫২)।
বগুড়ার আদালত পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন প্রথম আলোকে রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বগুড়া আদালতের কনডেমড সেলের ছাদ ছিদ্র করে পালানোর পর ধরা পড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির বিরুদ্ধে বগুড়া কারাগারের জেলার মোহাম্মদ ফরিদুর রহমান বাদী হয়ে গত বুধবার বগুড়া সদর থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ পরিদর্শক সুজন মিঞা আদালতে চার আসামির প্রত্যেকের সাত দিন রিমান্ড আবেদন করেন। রিমান্ড আবেদন শুনানি শেষে আজ আদালত প্রত্যেকের দুই দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বগুড়া সদর ফাঁড়ির ইনচার্জ ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুজন মিঞা বলেন, কারাগারের ছাদ ফুটো করে পালানোর পর ধরা পড়া চার কয়েদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগার থেকে শিগগিরই পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হবে।
বগুড়া জেলা কারাগারের ছাদ ছিদ্র করে গত ২৬ জুন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার কয়েদি পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন কারাগারের অদূরে একটি সেতুর নিচ থেকে চারজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন। বর্তমানে চার কয়েদিকে বগুড়া জেলা কারাগারে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে কনডেমড সেল থেকে জঙ্গিদের সঙ্গে বিশেষ ওয়ার্ডে সতর্ক পাহারায় রাখা হয়েছে বলে বগুড়া কারাগারের জেল সুপার আনোয়ার হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় বগুড়া কারাগারের জেলার মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম রুবেলকে সোমবার ডিআইজি প্রিজন রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ে বদলি করা হয়। এ ছাড়া রাজবাড়ী জেলা কারাগারের জেলার সৈয়দ শাহ শরীফকে বগুড়া জেলা কারাগারের জেলার হিসেবে বদলি করা হয়।