মাদারীপুর-৩

আওয়ামী লীগের গোলাপকে হারিয়ে তাহমিনা নির্বাচিত

আবদুস সোবহান ও তাহমিনা বেগম
ছবি: সংগৃহীত

মাদারীপুর-৩ (সদর একাংশ, কালকিনি ও ডাসার) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান ওরফে গোলাপকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল প্রতীক) তাহমিনা বেগম। তাহমিনা পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৬৩৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সোবহান পেয়েছেন ৬১ হাজার ৯৭১ ভোট।

৩৪ হাজার ৬৬২ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন তাহমিনা বেগম। রোববার রাত ৯টা ১০ মিনিটে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ এ ফল ঘোষণা করেন।

বিজয়ী তাহমিনা সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ও কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এরপরই কালকিনি উপজেলাজুড়ে আনন্দমিছিল বের করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। আবদুস সোবহান আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা–বিষয়ক সম্পাদক।

ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা বলেন, নির্বাচনে ভোট গ্রহণের শুরু থেকে কয়েকটি কেন্দ্র দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকেরা। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। একটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে নৌকায় সিলও দেওয়া হয়। তবে প্রশাসন তৎপর থাকায় বড় ধরনের সহিংসতা ছাড়াই শেষ হয় এই আসনের ভোট গ্রহণ। এ ছাড়া নির্বাচনের প্রচারণা শুরু থেকে তাহমিনা বেগমের প্রচারণায় বাধা দেওয়া হয়। ঈগলের মিছিলে বোমা হামলা, কর্মী কুপিয়ে হত্যাসহ একাধিক সহিংসতার ঘটনা ঘটে এ আসনে।

বিজয় সম্পর্কে জানতে কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহীন বলেন, ‘আজ সত্যের বিজয় হয়েছে। জনগণ এক দুর্নীতিবাজ এমপিকে প্রতিহত করেছে। আমরা আশাবাদী ছিলাম, যে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমরা বিপুল ভোটে বিজয়ী হব।’

জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সূত্র জানায়, মাদারীপুর-৩ আসনে জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) মো. আবদুল খালেক পেয়েছেন ৫৩৩, তৃণমূল বিএনপির প্রবীণ হালদার পেয়েছেন ৪৩৪, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির নিতাই চক্রবর্তী পেয়েছেন ১৯৩ ও কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের নকুল কুমার বিশ্বাস পেয়েছেন ২৬৩ ভোট।

কালকিনি ও ডাসার উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা এবং মাদারীপুর সদরের ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মাদারীপুর-৩ আসন। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৮৫৬ জন।