কোট পিন, মাথার ফিতা ও পতাকা বিক্রি করতে ফরিদপুর গণসমাবেশস্থলে হাজির বিক্রেতারা

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার আনাখণ্ড গ্রাম থেকে নানা ধরনের সামগ্রী নিয়ে এসেছেন মামুন খান (২৬)। বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরিদপুরের কোমরপুর আবদুল আজিজ ইনিস্টিটিউশন মাঠে
ছবি: প্রথম আলো

ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের বাকি এখনো দুদিন। এর আগেই বিভিন্ন জেলা থেকে আসতে শুরু করেছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। এই নেতা-কর্মীদের কাছে বিএনপির লোগো ও ধানের শীষের প্রতীকসংবলিত কোট পিন, মাথায় বাঁধার ফিতা, ছোট আকারের পতাকা বিক্রয় করতে বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছেন বেশ কিছু তরুণ।

শনিবার ফরিদপুরের কোমরপুর আবদুল আজিজ ইনিস্টিটিউশন মাঠে বিএনপির গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশ ঘিরে সেখানে চলছে সাজ সাজ রব। বিএনপির নেতারা বলছেন, সমাবেশে অর্ধলাখ লোকের সমাগম ঘটবে।

কোট পিন, ফিতা, পতাকা নিয়ে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী এলাকা থেকে এসেছেন মো. সুমন (৩০)। এর আগে খুলনা ও বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশে তিনি এসব সামগ্রী বিক্রি করেছেন। আবদুল আজিজ ইনিস্টিটিউশন মাঠে বৃহস্পতিবার বিকেলে মো. সুমন বলেন, খুলনা ও বরিশালে পরিবেশ ভালো না থাকায় বিক্রি খুব একটা বেশি হয়নি। ফরিদপুরে এসে ভালো পরিবেশ দেখে তিনি বেশি বিক্রি করার আশা করছেন।

ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে একই ধরনের সামগ্রী নিয়ে এসেছেন মামুন খান (২৬)। তাঁদের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার আনাখণ্ড গ্রামে। মামুন বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত তিনি ৬০০ টাকার মতো বিক্রি করেছেন। তাঁর মতো আরও ৪০-৫০ জন আছেন, যাঁরা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী এলাকা থেকে এসব সামগ্রী সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে আয়োজিত সমাবেশে গিয়ে বিক্রি করেন।

মামুন খান বলেন, বরিশালে সব মিলিয়ে ৩২ হাজার টাকা সামগ্রী বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে তাঁর লাভ ছিল ১০ হাজার টাকার মতো। ফরিদপুর সমাবেশে বিক্রি করে অন্তত ১৫ হাজার টাকা লাভের আশা করছেন তিনি।

আবদুল আজিজ ইনিস্টিটিউশন মাঠে কথা হয় বিএনপির সমর্থক লাজু খানের (২১) সঙ্গে। তিনি শরীয়তপুরের ডামুড্যা থেকে এসেছেন। লাজু খান বলেন, সব সময় দলীয় লোগো ও ধানের শীষ প্রতীকের কোট পিন, মাথায় বাঁধার ফিতা কিনতে পাওয়া যায় না। গণসমাবেশস্থলে পেয়ে কিনে নিয়েছেন। কোট পিন কিনেছেন ৩০টা দিয়ে। মাথায় বাঁধার ফিতা কিনেছেন ১০টা দিয়ে। এসব পরেই তিনি সমাবেশে অংশ নেবেন।