গাজীপুরের শ্রীপুরে মেয়েকে ঘরে রেখে চাকরির খোঁজে বের হয়েছিলেন মা। ফিরে এসে দেখেন ঘরে ঝুলছে তাঁর মেয়ের মরদেহ। আজ রোববার সকাল আটটায় শ্রীপুরের বেড়াইদেরচালা মধ্যপাড়া গ্রামের একটি কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি পাওয়া যায়।
মৃত মোসা. তামান্না (১৬) সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার আনোয়ারপুর গ্রামের আক্তার হোসেন ও আনোয়ারা বেগম দম্পতির মেয়ে। তামান্না কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল বলে স্বজনেরা জানিয়েছেন।
স্থানীয় আরাফাত ব্যাপারী স্বজনদের বরাত দিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, তামান্নারা পাঁচ বোন এক ভাই। অন্য ভাই-বোনেরা গ্রামের বাড়িতে আছেন। তামান্না তাঁর মা-বাবার সঙ্গে শ্রীপুরের বেড়াইদেরচালা গ্রামে থাকত। সকালে বাবা বাজার করতে বের হন। অপর দিকে মা চাকরি খুঁজতে মেয়েকে ঘরে রেখে বের হয়েছিলেন। সকাল আটটার দিকে তিনি বাড়িতে ফিরে দেখেন ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া পাচ্ছিলেন না। পরে টিনের তৈরি ঘরটির বেড়ার এক অংশের টিন ফাঁক করে ভেতরে উঁকি দিয়ে দেখেন মেয়ের দেহ ঝুলছে।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সুরতহাল করে প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে মনে হয়েছে এটি আত্মহত্যা। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’