কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একমাত্র নারী প্রার্থী মোসা. আফরোজা কুসুম। তিনি দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে কুমিল্লার সাতটি উপজেলায় ২৪ জন চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালে মনোহরগঞ্জ উপজেলার খিলা ইউনিয়নের ১ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য (মেম্বার) পদে নির্বাচন করে জয়ী হন আফরোজা কুসুম। এর পর তিনি মনোহরগঞ্জ উপজেলা মেম্বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হন। ২০০৯ সালে মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে জয়ী হন। ২০১৪ সালেও ভোট করে একই পদে জয়ী হন। ২০১৯ সালে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা ভোটে জয়ী হন তিনি। আগামী ৮ মে অনুষ্ঠেয় মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান পদে একমাত্র নারী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ নির্বাচনে মোসা. আফরোজা কুসুমের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাকির হোসেন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আবদুল মান্নান চৌধুরী। এর মধ্যে জাকির আনারস প্রতীক নিয়ে ও মান্নান ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ভোট করছেন। মান্নান মনোহরগঞ্জ উপজেলার নাথেরপেটুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে এ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।
হাজীপুরা গ্রামের ভোটার কামরুন্নাহার বলেন, তিনজন প্রার্থী বর্তমানে একই রাজনৈতিক দলের নেতা। যে কারণে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। সরষপুর গ্রামের গৃহবধূ সালমা আক্তার বলেন, ‘কুসুম আপা দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছেন। তাঁকে ভোট দেব।’ কুসুম ভোটের রাজনীতিতে দুই যুগ ধরে আছেন, ফলে তিনি ভোটের মাঠে এগিয়ে আছেন বলে মন্তব্য করেন বাইশগাঁও গ্রামের ভোটার আবদুল মোতালেব।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আফরোজা কুসুম একসময় জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রীসংগঠন ইসলামী ছাত্রী সংস্থার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
আফরোজা কুসুম বলেন, ‘২৪ বছর ধরে মনোহরগঞ্জবাসীর সঙ্গে আছি। আমাকে মানুষ সব সময়ই কাছে পান। জীবনে কোনো নির্বাচনে পরাজিত হইনি। ভোট হলে নিশ্চিত পাস করব। কোনো ষড়যন্ত্র আমাকে হারাতে পারবে না। শুধু সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।’
মনোহরগঞ্জ উপজেলায় ভোটার ২ লাখ ১৬ হাজার ৯৭২ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩ হাজার ৯৬১ জন ও পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৩ হাজার ১১ জন।