চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে আরেকটি ট্রেন ছেড়েছে আজ মঙ্গলবার। এই ট্রেন চড়ে ১১ নভেম্বর নতুন নির্মিত দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ওই দিন কক্সবাজারের আইকনিক স্টেশনও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ওই ট্রেনে চড়েই কক্সবাজার আইকনিক স্টেশন থেকে রামু স্টেশন পর্যন্ত যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
আজ বেলা ২টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে এই ট্রেন ছাড়ে। ট্রেনটিতে ১৫টি বগি রয়েছে। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. নাজমুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ট্রেন চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আজ। এই ট্রেনকে রেলের ভাষায় ‘এম্পটি র্যাক’ বলা হয়। ট্রেনটি আজ নিয়ে যাওয়ার পর কক্সবাজারে রাখা হবে।
এর আগে ৫ নভেম্বর কক্সবাজারে প্রথম ট্রেন যায়। সেটি ছিল পরিদর্শন ট্রেন। রেলপথ পরিদর্শন অধিদপ্তরের সরকারি রেল পরিদর্শক রুহুল কাদের আজাদের নেতৃত্বে এই ট্রেন যায়। গত রোববার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ছাড়ার পর সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে কক্সবাজার আইকনিক স্টেশনে পৌঁছে। আর সরকারি রেল পরিদর্শক রুহুল কাদের আজাদ গতকাল সোমবার দুই দিনের পরিদর্শনের কাজ শেষ করেন।
সাধারণত দেশের কোথাও নতুন রেললাইন নির্মিত হলে পরিদর্শন অধিদপ্তরের সরকারি রেল পরিদর্শক পরীক্ষা করে দেখেন। তিনি ছাড়পত্র দিলে নতুন রেলপথটি ট্রেন চলাচলের জন্য উপযোগী বলে বিবেচনা করা হয়। এরপর ট্রায়াল রান (পরীক্ষামূলক চলাচল) ও ট্রেন চলাচল শুরু করতে পারবে।
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী থেকে কক্সবাজার সদর পর্যন্ত নতুন রেললাইনের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্ত। এখন পর্যন্ত ১০১ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পে অগ্রগতি ৯২ শতাংশ। এই প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার কোটি টাকা।
প্রকল্পের এই অবস্থায় ১১ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন রেললাইনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কবে নাগাদ ট্রেন চলাচল শুরু হবে, তা এখনো নির্ধারণ করেনি রেলওয়ে। অবশ্য আগামী ডিসেম্বর থেকে রেললাইন যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে রেলওয়ের।