মৌলভীবাজার-৩ (মৌলভীবাজার সদর-রাজনগর) আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী মো. আলতাফুর রহমানের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে মৌলভীবাজার পৌরসভার বড়হাট এলাকায় প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় জাতীয় পার্টির যুব সংগঠন যুব সংহতির জেলা শাখার সভাপতিসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার অভিযোগে গতকাল গভীর রাতে আলতাফুর রহমানের স্ত্রী ও জাতীয় মহিলা পার্টি মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি শাহজাদী বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেছেন। মামলায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৮ থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
হামলায় আহত ব্যক্তিরা হলেন জেলা যুব সংহতির সভাপতি বেলায়েত আলী খান, জেলা জাতীয় পার্টির সহসাধারণ সম্পাদক খালেদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীর কিশোর ছেলে হানিফ ইবনে আলতাফ ও কর্মী শাহজাহান মিয়াসহ পাঁচজন। তাঁদের মধ্যে বেলায়েত আলী খানকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আলতাফুর রহমান আজ শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেছেন, গতকাল সারা দিন প্রচার-প্রচারণা শেষে রাত ৯টার দিকে তিনি বড়হাটে প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে ফেরেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে আরও ১০ থেকে ২০ জন লোক ছিলেন। সেখানে আসার পর ব্যক্তিগত কাজে বাইরে যান তিনি। রাত ১০টার দিকে হামলার কথা শুনে কার্যালয়ে ছুটে যান।
আলতাফুর রহমান বলেন, হামলাকারীরা এসে বলেছেন, এখানে লাঙ্গল প্রতীক থাকবে না, নৌকা থাকবে। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়েছে, মারামারি হয়েছে। কার্যালয়ের আসবাব ভাঙচুর করেছেন তাঁরা। তবে হামলাকারীরা কোন দলের সমর্থক, তা জানা নেই। তিনি বলেন, হামলার ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। এ কারণে আজ তিনি প্রচারণা বন্ধ রেখেছেন। হামলার বিষয়টি দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। এ রকম পরিস্থিতি থাকলে নির্বাচন বর্জন করা হবে বলে জানান তিনি।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, রাজনগর এলাকায় তাঁর অনেক পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। বিশেষ করে উপজেলার তারাপাশা এলাকায় পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনা বেশি। তবে কারা পোস্টার ছিঁড়ছে, সে সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত নন।
মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল প্রথম আলোকে বলেন, হামলাকারীরা বখাটে ধরনের। কথা-কাটাকাটি থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা কোনো দলের কিছু নন। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।