‘সিলেট অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এলাকা। এখানে শিল্প স্থাপনের প্রয়োজনীয় উপকরণ ও কাঁচামাল রয়েছে। তাই সিলেটের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের সম্ভাবনাময় শিল্প খাতগুলোতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসা উচিত।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাসের ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ ও কোরিয়া ট্রেড ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন এজেন্সির (কটরা) মহাপরিচালক স্যামসু কিম এ কথা বলেন। নগরের জেল রোড এলাকার চেম্বারের বোর্ডরুমে এ মতবিনিময় হয়। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফয়েজ হাসান ফেরদৌস।
সভায় স্যামসু কিম বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি, কার্বন নির্গমন হ্রাসকরণ, প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করছে। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া সরকার বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য ও কার্বন নির্গমন হ্রাসকরণ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। আমরা পরিবেশ রক্ষা করে শিল্প খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে আগ্রহী।’
স্যামসু কিম আরও বলেন, দক্ষিণ কোরিয়াও একসময় অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত দুর্বল ছিল। কিন্তু শিক্ষার প্রসার, দুর্নীতি হ্রাসকরণ ও উদ্ভাবনী চিন্তাধারার কারণে দক্ষিণ কোরিয়া এখন উন্নত দেশে পরিণত হয়েছে।
সভায় সিলেটের ব্যবসা-বাণিজ্য ও সম্ভাবনাময় শিল্প খাত নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ফজলে এলাহী মো. ফয়সাল। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কটরার চিফ স্পেশালিস্ট ফারুক আহমেদ, চেম্বারের পরিচালক ফাহিম আহমদ চৌধুরী ও আরিফ হোসেন। এ সময় চেম্বারের সহসভাপতি মো. আবদুস সামাদ, পরিচালক আমিনুর রহমান, কাজী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সায়েম আহমদ, সচিব মো. গোলাম আক্তার ফারুক, উপসচিব সানু উদ্দিন রুবেল, আজিজুর রহিম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফয়েজ হাসান ফেরদৌস বক্তব্যে বলেন, ‘বিগত কয়েক দশকে দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়ন অত্যন্ত প্রশংসনীয়। একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়া এখন একটি সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। আমরা দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক কলাকৌশল অনুসরণ করে এগিয়ে যেতে চাই।’ এ ব্যাপারে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার জন্য ফয়েজ হাসান ফেরদৌস দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারকে অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীদের সিলেটের সম্ভাবনাময় কৃষি, শিল্প, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও পর্যটন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।