সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা ৩২ সদস্যের এই কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য ও দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কলিম উদ্দিন আহমদকে (মিলন)। তিনি বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ছিলেন। কমিটিতে সদস্যসচিব হিসেবে কাউকে রাখা হয়নি। অন্য সবাই সদস্য।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সোমবার রাতে নিজের ফেসবুকে এই কমিটি প্রকাশ করেন। সাত বছর পর সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙে আহ্বায়ক কমিটি করা হলো। তবে কমিটিতে জেলা বিএনপির পরিচিত কিছু মুখ ঠাঁই না পাওয়া এবং সদস্যসচিব হিসেবে কাউকে না রাখার বিষয়টি নিয়ে দলের ভেতরে-বাইরে আলোচনা হচ্ছে।
আহ্বায়ক কলিম উদ্দিন আহমদের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায়। তিনি সুনামগঞ্জ-৫ আসনের (ছাতক ও দোয়ারাবাজার) সাবেক সংসদ সদস্য। কমিটিতে ১ নম্বর সদস্য রাখা হয়েছে একই উপজেলার বাসিন্দা ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরীকে। ভেঙে দেওয়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম আহ্বায়ক কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন।
স্থানীয় বিএনপির অনেকের ধারণা ছিল, আহ্বায়ক কমিটি হলে নুরুল ইসলাম সদস্যসচিব হবেন। তবে কমিটি ঘোষণার পর তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে অভিনন্দন জানিয়ে সোমবার রাতে শহরে মিছিল করেছেন। এর বাইরে জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দেওয়ান জয়নুল জাকেরিন, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও জেলা যুবদলের সভাপতি আবুল মনসুর মো. শওকতসহ কয়েকজন নেতার নাম আহ্বায়ক কমিটিতে না থাকার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে সেটিই আমরা পালন করব। কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় নতুন আহ্বায়ক কমিটি দলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের নিয়ে সুনামগঞ্জে বিএনপিকে আরও সুসংহত ও শক্তিশালী করতে কাজ করে যাবে।’
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন মল্লিক মইন উদ্দিন, মো. শেরেনুর আলী, নাদীর আহমদ, আকবর আলী, মাসুক আলম, আনিসুল হক, আবদুল মোতালেব খান, রেজাউল হক, আনছার উদ্দিন, শামসুল হক (নমু), আ ত ম মিছবাহ, মো. আবিদুল হক, ফারুক আহমদ (শান্তিগঞ্জ উপজেলা), সেলিম উদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, ফারুক আহমদ (ছাতক উপজেলা), আবদুর রহমান, নজরুল ইসলাম (সুনামগঞ্জ), কামরুল ইসলাম কামরুল, নাসিম উদ্দিন, মো. মুনাজ্জির হোসেন (সুজন), জিয়াউর রহীম শাহিন, নজরুল ইসলাম (ছাতক), আবদুল মুকিত, মো. শফিকুল ইসলাম, আবদুল বারি, সিরাজ মিয়া, নুর আলী, মো. আবদুর রশীদ।
২০১৭ সালের ২৫ মে কলিম উদ্দিন আহমদকে সভাপতি ও নুরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্যের জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এর পর ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণা করা হয়।