নোয়াখালী সরকারি কলেজের পুরোনো ক্যাম্পাস
নোয়াখালী সরকারি কলেজের পুরোনো ক্যাম্পাস

নোয়াখালী সরকারি কলেজ

ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারি, ছাত্রাবাস বন্ধ ঘোষণা

নোয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের একটি মতবিনিময় সভাকে ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার বিকেলে শহরের মাইজদী বাজারের পশ্চিমে কলেজের পুরোনো ক্যাম্পাসে (একাদশ শ্রেণির ক্যাম্পাস) এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে চারজন আহত হয়েছেন।

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেনের নেতৃত্বে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মারামারির ঘটনার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য ছাত্রাবাস বন্ধ ঘোষণা করেছে। ছাত্রাবাসে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীদের (হাতিয়া উপজেলার শিক্ষার্থী ছাড়া) আজ রাত ৯টার মধ্যে ছাত্রাবাস ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা ছাত্রাবাস ত্যাগ করে। হাতিয়ার শিক্ষার্থীরা আগামীকাল শনিবার সকাল আটটার মধ্যে ছাত্রাবাস ত্যাগ করবে। ছাত্রাবাসটিতে ১১০ শিক্ষার্থীর আসন রয়েছে।

মারামারিতে আহত ব্যক্তিরা হলেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আবু নাঈম ওরফে তানিম, ছাত্রলীগের কর্মী মো. জিসান, মো. শুভ ও সাবেক ছাত্রলীগের কর্মী মো. সানি। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আবু নাঈমের হাত কেটে গেছে এবং সানি মাথায় আঘাত পেয়েছে। আহত সবাইকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ছাত্রাবাসে বসবাসকারী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কলেজ ছাত্রলীগের উদ্যোগে অধ্যাপক আবুল হাসেম ছাত্রাবাসের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে আজ সন্ধ্যায় একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ছাত্রলীগ সভাপতি আবু নাঈম সভার প্রস্তুতি দেখতে সেখানে গেলে কলেজের কিছু প্রাক্তন ছাত্র তাঁর ওপর হামলা চালান। এতে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, কলেজ ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভার প্রস্তুতি দেখতে গিয়েছিলেন সভাপতি আবু নাঈম। সেখানে কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ও বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম ওরফে রাতুলের সঙ্গে তাঁর (নাঈম) তর্কাতর্কি হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে তর্কাতর্কি এবং পরে মারামারি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে এই ঘটনায় মতবিনিময় সভায় কোনো প্রভাব পড়েনি।

কলেজের অধ্যক্ষ সালমা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের মতবিনিময় সভাকে ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রাবাস ঘিরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ছাত্রাবাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান বলেন, কলেজের পুরোনো ক্যাম্পাস–সংলগ্ন ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের মতবিনিময় সভা ছিল। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। পরে খবর পেয়ে তাঁরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।