সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার একটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিবাহটি বন্ধ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। সেই সঙ্গে বিয়েবাড়িতে বরযাত্রীদের জন্য তৈরি করা খাবার স্থানীয় একটি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুরে দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর (১৬) সঙ্গে বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার চর সারিয়াকান্দি গ্রামের মিনু ইসলামের বিয়ের আয়োজন চলছিল। গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে মেয়েটির বাড়িতে অভিযান চালান কাজীপুরের ইউএনও সুখময় সরকার। ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কনের মা ও বাবা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান।
তখনো বরপক্ষ উপস্থিত না হওয়ায় উপস্থিত কনের অভিভাবককে বাল্যবিবাহ বন্ধের নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। কনের মা-বাবা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়েটিকে বিবাহ দেওয়া হবে না মর্মে তাঁর চাচির কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বরপক্ষের জন্য রান্না করা খাবার উপজেলার বরইতলী আহমদ আলী এতিমখানা ও বেরীপটল হাফেজিয়া কওমি মাদ্রাসার এতিম শিশুদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে ইউএনও সুখময় সরকার প্রথম আলোকে বলেন, কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় দেশের প্রচলিত আইন মেনেই এই বাল্যবিবাহটি বন্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কনের মা ও বাবা পালিয়ে যাওয়ায় শাস্তি হিসেবে বিয়ের বরযাত্রীদের জন্য তৈরি করা সব খাবার এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। এই বাল্যবিবাহ যাতে না হয়, সে জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখা হচ্ছে।
অভিযানের সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলামসহ কয়েকজন পুলিশ ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।