খুলনা-২ আসনের নিরালা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নারী কেন্দ্রে প্রথম এক ঘণ্টায় ভোটারের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। আজ রোববার সকালে
খুলনা-২ আসনের নিরালা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নারী কেন্দ্রে প্রথম এক ঘণ্টায় ভোটারের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। আজ রোববার সকালে

খুলনা-২: শুরুর পৌনে এক ঘণ্টায় কোনো ভোট পড়েনি কেন্দ্রটির দুই বুথে

খুলনা-২ আসনের (সদর-সোনাডাঙ্গা) নিরালা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২ নম্বর কেন্দ্রের দুটি বুথে শুরুর পৌনে এক ঘণ্টায় কোনো ভোট পড়েনি। আজ রোববার সকাল আটটা থেকে কেন্দ্রটিতে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। কেন্দ্রের অন্য একটি বুথে এই সময়ের মধ্যে ভোট পড়ে মাত্র দুটি। কেন্দ্রটি নারী ভোটারদের জন্য সংরক্ষিত।

সকাল পৌনে ৯টার দিকে ওই কেন্দ্রের ৩ নম্বর বুথ ও ৫ নম্বর বুথে গিয়ে দেখা যায়, ভোটারের অপেক্ষায় বসে আছেন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারসহ অন্যরা। পৌনে এক ঘণ্টাতেও ভোটার না যাওয়ায় কেউ কেউ বাইরে পায়চারি করছেন। অন্যদিকে ৪ নম্বর বুথে ভোট পড়েছে মাত্র একটি। বুথগুলোয় ৩৯৬ জন করে ভোটার রয়েছেন।

৩ নম্বর বুথের সামনে পায়চারি করছিলেন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মৃত্যুঞ্জয় ঘোষ। তিনি বলেন, ‘এখনো কোনো ভোট পড়েনি। আমরা ভোটারের অপেক্ষায় আছি।’

ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কে এম জুবায়ের বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নারী ভোটার হওয়ায় ভোটাররা একটু দেরিতে আসতে পারেন।

খুলনা-২ আসন থেকে লড়ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেখ সালাহউদ্দিন (নৌকা), জাতীয় পার্টির মো. গাউসুল আজম (লাঙ্গল), বাংলাদেশ কংগ্রেসের দেবদাস সরকার (ডাব), সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের (মুক্তিজোট) বাবু কুমার রায় (ছড়ি), বিএনএমের প্রার্থী মো. আবদুল্লাহ আল আমিন (নোঙ্গর) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাঈদুর রহমান (ঈগল)। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য দলের প্রার্থীদের তেমন কোনো পরিচিতি নেই। এ ছাড়া যিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন, তিনি নৌকার প্রার্থী সেখ সালাহউদ্দিনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিএস)। ওই কেন্দ্রের বাইরে শুধু নৌকা ও ঈগল প্রতীকের পোস্টার দেখা গেছে। ছয়টি বুথ ঘুরে শুধু নৌকা প্রতীকের এজেন্ট পাওয়া গেছে।