দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আজ শনিবার বরিশালের পুলিশ সুপারের নির্দেশে শফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে (ক্লোজড) বরিশাল পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।
এদিকে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফাকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার পশ্চিম শ্যামপুর দেউড়ি বাড়ির ব্যক্তিগত দুর্গামন্দিরে তিনটি মূর্তির মাথা ও হাত ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা। শংকর দেউড়ি জানান, শুক্রবার ভোরে উঠে তাঁরা দুর্গাপ্রতিমাসহ তিনটি মূর্তির মাথা ও হাত ভেঙে ফেলা অবস্থায় দেখতে পান। এসব প্রতিমার ভাঙা মাথা ও হাতগুলো নিচেই রাখা ছিল।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘পুরো বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। এটাকে ভাঙচুর বলা যায় না। মাথা খুলে পায়ের কাছ রাখা হয়েছিল। ভাঙচুর হলে তো পুরোটাই ক্ষতিগ্রস্ত হতো। এটা কীভাবে হলো, সেটা আমরা গভীরভাবে তদন্ত করছি। আমরা তদন্ত করে এর কারণ শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। আশা করি, এটা বের হবে। মহালয়ার পর থেকে মণ্ডপগুলোতে সিসি ক্যামেরা ও স্বেচ্ছাসেবক রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ওই মণ্ডপে তার কোনো কিছুই ছিল না। এ ক্ষেত্রে মণ্ডপ কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেননি।’
পুলিশ সুপার বলেন, মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক আছে কি না, তা মনিটরিং করার দায়িত্ব ছিল পুলিশের। কিন্তু বাকেরগঞ্জ থানার পুলিশ সে দায়িত্ব পালন করেনি। তাই ওসি শফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাঁর জায়গায় পরিদর্শক গোলাম মোস্তফাকে ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।