সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম চার বছর কারাভোগের পর নিজের নির্বাচনী এলাকায় ফিরেছেন। আজ শনিবার বিকেলে তালা উপজেলার কুমিরা ফুটবল মাঠে তাঁকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়।
তালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মৃণাল কান্তি রায়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন হাবিবুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন হাবিবুল ইসলামের সহধর্মিণী শাহানাজ পারভিন, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আজিজুল বারী, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তারিকুল হাসানসহ জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতারা।
হাবিবুল ইসলাম বলেন, ‘একটি সাজানো মামলায় আমাকে ৭০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ওই সাজানো মামলার সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের আইনের আওতায় আনতে হবে। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। আমার নেত্রী খালেদা জিয়া কিংবা আমি অন্যায়ের কাছে নতি স্বীকার করিনি। আমরা পালিয়ে যাইনি। অথচ আমার কানাডা-আমেরিকার ভিসা ছিল।’
ছাত্র-জনতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আন্দোলনে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁরা সবাই বীর। তাঁদের জাতি কখনো ভুলবে না। দেশে সুশাসন ছিল না, গণতন্ত্র ছিল না। একনায়কতন্ত্র চালু করা হয়েছিল। এ কারণে ছাত্র-জনতা এক হয়ে ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী সরকারকে বিদায় করে দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমি আগেও আপনাদের পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব। আপনাদের নিয়ে সাতক্ষীরা তথা বাংলাদেশের উন্নয়নে নিয়োজিত থাকব।’
২০০২ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় পৃথক তিন মামলায় হাবিবুল ইসলামের দুটিতে যাবজ্জীবন ও একটিতে ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। এ ছাড়া বিএনপির আরও ৪৯ নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। এর মধ্যে কারাবন্দী অবস্থায় চারজন মারা যান। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত সপ্তাহে উচ্চ আদালত থেকে হাবিবুল ইসলামসহ ৪৫ জন জামিন পেয়ে কারামুক্ত হন।