ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে সারোয়ার মিয়া (৩০) নামের এক যুবককে ছুরি মেরে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলা সদরের বড্ডাপাড়া গ্রামীণ সড়কে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় নিহত যুবকের দুই বন্ধুকে আটক করেছে।
নিহত সারোয়ার মিয়া ওরফে লাল খাঁ সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের খাঁটিহাতা গ্রামের আবু কালাম মিয়ার ছেলে। তিনি মোটরসাইকেল মেরামত করতেন।
আটক জসিম উদ্দিন জসিম উদ্দিন (৩৭) সদর উপজেলার নরসিংসার এলাকার বাসিন্দা। তিনি অটোরিকশার চালক। বছরখানেক ধরে তিনি সরাইল উপজেলা সদরে সৈয়দটুলা গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করছেন। আর আল আমিন বিজয়নগর উপজেলার সেজামুড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি অটোরিকশাচালক চালান এবং সরাইল উপজেলা সদরের বড্ডাপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক মাস আগে সারোয়ার মিয়ার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ধার দেন আল আমিন। কথা ছিল ঈদের আগে টাকা পরিশোধ করবেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে সারোয়ারের বাড়িতে যান আল আমিন। টাকা পরিশোধের কথা বলে অটোরিকশায় করে তিনি সারোয়ারকে বাড্ডাপাড়ায় নিজ বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তাঁরা ইফতার করেন। রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই বাড়িতে আসেন তাঁদের বন্ধু জসিম উদ্দিন। কিছুক্ষণ পরেই তাঁরা তিনজন বাড়ি থেকে বের হয়ে বড্ডাপাড়া গ্রামের সড়কে হাঁটছিলেন। এ সময় জসিম উদ্দিন ও আল আমিনের সঙ্গে সারোয়ারের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাঁরা দুজন সারোয়ারের বুকে ও হাতে ছুরিকাঘাত করেন। সারোয়ারের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসেন এবং আল আমিনকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। সারোয়ারকে উদ্ধার করে সরাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ সৈয়দটুলা গ্রাম থেকে জসিম উদ্দিনকেও আটক করে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পাওনা টাকার কারণে সারোয়ার মিয়াকে খুন করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত নিহত ব্যক্তির দুই বন্ধুকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে।