নির্বাচনী প্রচার শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট নগরের নয়াসড়ক এলাকায়
নির্বাচনী প্রচার শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট নগরের নয়াসড়ক এলাকায়

নির্বাচনী প্রচারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিএনপি ভুল করল, বড় দল ছিল, কিন্তু ধ্বংস হয়ে যাবে

নির্বাচনে না এসে বিএনপি ভুল করেছে বলে মনে হচ্ছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ কে আব্দুল মোমেনের। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট নগরের নয়াসড়ক এলাকায় নির্বাচনী প্রচারকালে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন ভোটে মোটেই প্রভাব ফেলবে না উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপিটা বোধ হয় ভুল করল। তারা একটা বড় দল ছিল, কিন্তু ধ্বংস হয়ে যাবে। তাদের লিডারশিপের অপরিপক্বতা, ম্যাচুরিটির অভাব। তারা তো এখন আর রাজনৈতিক দল নয়, এখন তারা সন্ত্রাসী দল। সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশে কখনো জয়লাভ করেনি।’

এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বিদেশি সরকারগুলো, আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। যারা নির্বাচনে বাধা দেবে, তাদের তারা ভিসা নীতির আওতায় আনবে। সব সময় ভিসার আওতা তাদের আছে। ইচ্ছা করলে ভিসা দেয়, না হলে দেয় না। এবার তারা ডিক্লেয়ার করেছে, যাতে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। তারা চায় ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড নন ভায়োলেন্ট ইলেকশন। আমরাও চাই ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড নন ভায়োলেন্ট ইলেকশন। এর সঙ্গে আমরা এক। ওরা যা চায়, আমরাও তা–ই চাই। বরং বলতে হয়, ওরা আমাদের সহায়কের ভূমিকা পালন করছে। উই ওয়েলকাম ইট।’
আওয়ামী লীগ উন্নয়নের দল মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। গত ১৫ বছরে এটা শেখ হাসিনার কারণে হয়েছে, আওয়ামী লীগ দলের কারণে হয়েছে। আওয়ামী লীগ খুব বাস্তববাদী দল। যেখানে যা প্রয়োজন, সেই কাজটাই তারা করে। তিনি বলেন, গত পাঁচ বছরে তাঁদের সিলেটে যা অবকাঠামো দরকার, রাস্তাঘাট দরকার, তাঁরা এসব মোটামুটি করেছেন কিংবা কাজ চলমান আছে।

দেশে মাত্র ৩ শতাংশ মানুষ বেকার দাবি করে আওয়ামী লীগের এ প্রার্থী বলেন, ‘আগামী সময়ে আমাদের একটি বড় বিষয় হবে কর্মসংস্থান। লোকজনের জন্য চাকরির সংস্থান করা। আমাদের দেশে আনএমপ্লয়মেন্ট খুব কম। ৩ পার্সেন্ট, মাত্র ৩ পার্সেন্ট। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এই রকম অবস্থা নেই। তবে শিক্ষিত বেকার কিছু আছে। এই জন্য আমরা শিক্ষিতের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। ৬০টি জেলায় আমরা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি, যাতে উন্নত প্রশিক্ষণ নিয়ে যাঁরা বিদেশে যান, তাঁরা ভালো পয়সা ইনকাম করতে পারেন। আগামী সময়ে আমরা প্রশিক্ষিত লোক বিদেশে পাঠাতে চাই।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারণাকালে সঙ্গে ছিলেন সিলেট নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান আহমদ, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, সিলেট নগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান প্রমুখ।