ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ যানবাহন চলাচল করছে। তবে আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত কোথাও যানজট হয়নি। সকাল থেকে যানবাহনের চাপ ক্রমেই বাড়ছে।
বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল প্লাজা সূত্র জানায়, স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৮ হাজার যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপার হয়। ঈদের কারণে যানবাহনের চাপ বেড়েছে অনেক বেশি। গত শনিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩৬ ঘণ্টায় ৪৭ হাজার ৫২২টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল রোববার রাত ১২টা থেকে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৭ হাজার ৭৪২টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়েছে।
দুপুরে সরেজমিন এই মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা থেকে মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কি পর্যন্ত ঘুরে কোথাও যানজট দেখা যায়নি। তবে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। বাসের পাশাপাশি পিকআপ ভ্যান, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানে মানুষকে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরতে দেখা যায়।
গতকাল রাত ১২টায় কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার রাস্তা একমুখী (ওয়ানওয়ে) করে দেওয়া হয়।
এলেঙ্গা সিএনজি স্টেশনে কথা হয় বগুড়াগামী পিকআপ ভ্যানের যাত্রী আবদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, বাসের চেয়ে অনেক কম ভাড়ায় যাওয়া যায়, তাই তিনি পিকআপ ভ্যানে বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন। মাত্র ২০০ টাকায় ঢাকার আমিন বাজার থেকে বগুড়া যেতে পারছেন।
পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। গতকাল রাত ১২টায় কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার রাস্তা একমুখী (ওয়ানওয়ে) করে দেওয়া হয়। উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন এই রাস্তায় চলাচল করে। আর উত্তরবঙ্গ থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর ঢাকাগামী যানবাহন ভূঞাপুর হয়ে এলেঙ্গা পর্যন্ত চলাচল করে। আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত এভাবে যানবাহন চলাচল করানো হয়।
টাঙ্গাইলের ট্রাফিক পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম সরকার জানান, আজ সকাল থেকেই যানবাহনের চাপ ক্রমেই বাড়ছে। ছুটি শুরু হচ্ছে। তাই আজ বিকেলের পর থেকে আরও চাপ বাড়বে বলে তাঁরা মনে করছেন। মহাসড়কের প্রতিটি পয়েন্টে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে তিনি জানান।