বাংলাদেশ মাদ্রাসা জেনারেল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের লক্ষ্মীপুর জেলা শাখা আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। আজ শনিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে
বাংলাদেশ মাদ্রাসা জেনারেল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের লক্ষ্মীপুর জেলা শাখা আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। আজ শনিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে

অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করতে ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনা ও তাঁর দোসরেরা: শহীদ উদ্দীন চৌধুরী

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, এর মূল কারিগর ছিলেন ছাত্র ও শিক্ষকেরা। দেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ। আর এই হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের হাত থেকে উদ্ধারে প্রাণ দিয়েছে এ দেশের ছাত্র-জনতা। তাই গণতন্ত্রের ভিতকে শক্তিশালী করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করাই এখন মূল চ্যালেঞ্জ।’

আজ শনিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ মাদ্রাসা জেনারেল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের লক্ষ্মীপুর জেলা শাখা আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য।

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী বলেন, এখন দেশের মানুষ নির্বাচন চায়। দ্রুত সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দিতে হবে। দেশে বর্তমানে যে অন্তর্বর্তী সরকার আছে, তাদের সার্বিক সহযোগিতা করছে বিএনপি। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করতে ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনা ও তার দোসরেরা। কোনোভাবেই এই সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী বলেন, গণহত্যার দায়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান স্বৈরাচার হাসিনা। এই দেশের মানুষ খুনি শেখ হাসিনাকে রক্ষা করবে না। তাঁর বিচার বাংলার মাটিতে হবেই হবে। তিনি আরও বলেন, ১৭ বছর ধরে শিক্ষক, ছাত্র-জনতাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ পেশাজীবী মানুষ শেখ হাসিনার নির্যাতনের শিকার ছিলেন। বিএনপি সরকার গঠন করলে শিক্ষকদের ন্যায়সংগত সব দাবিদাওয়া মেনে নেওয়া হবে।

এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসা জেনারেল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জেপি দেওয়ান, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. হারুন অর রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আলমাস প্রমুখ।