নেত্রকোনার কলমাকান্দায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হামলা ও মারধর করার অভিযোগ করেছেন চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে তিনি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন আরেক প্রার্থী আবদুল কুদ্দুছের ছেলে নাঈম মিয়ার নেতৃত্বে একদল যুবক তাঁদের ওপর হামলা চালান। তিনিসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। আসামি হিসেবে নাঈম মিয়াসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
প্রথম ধাপে ৮ মে কলমাকান্দা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এখানে চেয়ারম্যান পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় মোস্তাফিজুর রহমান গণসংযোগ করে কান্দাপাড়া এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবদুল কুদ্দুছের কর্মী–সমর্থকেরা তাঁদের বাধা দিয়ে হামলা চালান। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবদুল কুদ্দুছের ছেলে নাঈম মিয়ার নেতৃত্বে হামলা করা হয়। এতে মোস্তাফিজুর রহমান, তাঁর সমর্থক শেখ নাসিম, রনি মিয়া, জামাল মিয়াসহ ১০ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ওই হামলার ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, কয়েকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান। এ সময় মোস্তাফিজুর রহমান তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে যান। তখন তাঁকেও মারধর করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে আবদুল কুদ্দুছের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তাঁর ছোট ভাই আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘আমাদের কোনো কর্মী-সমর্থক কারও ওপর হামলা করেননি। উল্টো বিকেলে (মঙ্গলবার) মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে নলছাপড়া বাজারে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে চেয়ার-টেবিল তছনছ করা হয়েছে। আমাদের সমর্থক নাজিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেখানে উপস্থিত ছিলেন। হামলায় আমাদের ছয়–সাতজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমরা এ ঘটনায় মামলা করব।’
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফুল হক বলেন, হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবদুল কুদ্দুছও অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁর সমর্থকদের ওপর মোস্তাফিজুর রহমানের লোকজন হামলা করেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।