জামালপুরে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। গতকাল দুপুরে ইসলামপুর উপজেলার দেলিপাড় এলাকায়
জামালপুরে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। গতকাল দুপুরে ইসলামপুর উপজেলার দেলিপাড় এলাকায়

জামালপুরে যমুনার পানি বেড়ে ১৪ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে জামালপুরে যমুনা নদীর পানি বেড়ে ৩টি উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে ৬১ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। লোকালয়ে পানি ঢুকে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে নদীতীরবর্তী ও দুর্গম চরাঞ্চলের কয়েক হাজার বাসিন্দা।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জামালপুর কার্যালয়ের পানি পরিমাপক আবদুল মান্নান। তিনি বলেন, যমুনার পানি দ্রুতগতিতে বাড়ছে। যেভাবে পানি বাড়ছে, এতে নতুন নতুন আরও এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় পানি আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা আছে।

অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল বুধবার রাত থেকে পানি হু হু করে বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ঘরবাড়ির পাশাপাশি তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী, নোয়ারপাড়া, কুলকান্দি, পাথর্শী, সাপধরী, বেলগাছা; দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চিকাজানী, চুকাইবাড়ী ও বাহাদুরাবাদ; মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া, আদ্রা, মাহমুদপুর, নাংলা ও কুলিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইসলামপুর-গুঠাইল সড়কের দেলিরপাড় এলাকার ড্রাইবেশন ডুবে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া পানির তোড়ে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ী সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বন্ধ আছে।

এসব এলাকায় এখনই খাদ্যসহায়তার প্রয়োজন। এমনিতেই এসব অঞ্চলের মানুষ হতদরিদ্র। তাঁদের দিন এনে দিন খাওয়ার মতো অবস্থা। পানিতে সবকিছুই তলিয়ে যাচ্ছে। তাঁরা বেকার হয়ে পড়েছেন। এর ফলে দ্রুত তাঁদের ত্রাণসহায়তার প্রয়োজন।
চিনাডুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ছালাম

চিনাডুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ছালাম বলেন, ইউনিয়নটির বেশির ভাগ এলাকায় পানি ঢুকেছে। এর ফলে নদীতীরবর্তী অনেক বাসিন্দা এখন পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এসব এলাকায় এখনই খাদ্যসহায়তার প্রয়োজন। এমনিতেই এসব অঞ্চলের মানুষ হতদরিদ্র। তাঁদের দিন এনে দিন খাওয়ার মতো অবস্থা। পানিতে সবকিছুই তলিয়ে যাচ্ছে। তাঁরা বেকার হয়ে পড়েছেন। এর ফলে দ্রুত তাঁদের ত্রাণসহায়তার প্রয়োজন।

জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, পানি বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের কাছে নদীতীরবর্তী অঞ্চলগুলোর তথ্য চাওয়া হয়েছে।