নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিক আশিক মিয়া (২০) নিহত হওয়ার ঘটনায় আজ শুক্রবার তাঁর মা কুলসুম বেগম সোনারগাঁ থানায় ওই মামলা করেছেন। ওই মামলায় ১১২ জনের নাম উল্লেখ এবং ৩০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
নিহত আশিক মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার গকুলনগর পশ্চিমপাড়ার মৃত কামাল মিয়ার ছেলে। তিনি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর বিসিক শিল্পনগরীর মক্কা ইন্ডাস্ট্রিজে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক তিন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক, নজরুল ইসলাম বাবু, আবদুল্লাহ আল কায়সার, জাতীয় পার্টির দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, তাঁর ভাতিজা আজমেরী ওসমান প্রমুখ।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ৪ আগস্ট বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর ওভারব্রিজ এলাকায় ছাত্রদের বিক্ষোভ পণ্ড করার জন্য আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা একজোট হয়ে হামলা করেন। তাঁরা আগ্নেয়াস্ত্র, পিস্তল, শটগান থেকে গুলি ছুড়ে ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এ ছাড়া এলোপাতাড়ি রামদা দিয়ে আঘাত ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। তাঁরা শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান, আনিসুল হক, শামীম ওসমান ও অন্য আসামিদের নির্দেশে এ কাজ করেন। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে বাদীর ছেলে আশিক মিয়াসহ ১৫-২০ জন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরদিন ৫ আগস্ট সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশিকের মৃত্যু হয়। পরে গ্রামের বাড়িতে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়।
এ নিয়ে জেলার বিভিন্ন থানায় ১৪টি হত্যা মামলাসহ মোট ১৫টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আসামি করা হয়েছে।