কক্সবাজারের অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজিসহ ৪৪ মামলার পলাতক আসামি ও সন্ত্রাসী জিয়াবুল হককে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
আজ বুধবার ভোরে রামু উপজেলার রাজারকুল এলাকার একটি আস্তানা থেকে অস্ত্রসহ জিয়াবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় একটি দেশি অস্ত্র ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। জিয়াবুল কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের পশ্চিম মাঝেরহাট গ্রামের মনির আহমেদের ছেলে।
দুপুরে প্রেস ব্রিফিং করে জিয়াবুলকে গ্রেপ্তারের খবর গণমাধ্যমকে জানানো হয়। র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসী জিয়াবুলের বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুতা, চিংড়ি ঘের ও লবণমাঠ দখল, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধের ৪৪টি মামলা রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের মানুষের কাছে আতঙ্ক ছিলেন সন্ত্রাসী জিয়াবুল। সন্ত্রাসী দল গঠন করে তিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার-নিযাতন, নারী নিযাতন, মানুষের জমি দখল, চিংড়ি ঘের দখল, চুরি, ডাকাতি, মাদক, অস্ত্রসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন।
সম্প্রতি যৌথ বাহিনীর অভিযানে জিয়াবুলের আস্তানা থেকে তিন শতাধিক দলিল ও অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় জিয়াবুল পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। আজ ভোর পাঁচটার দিকে জিয়াবুলকে রামুর রাজারকুল এলাকার এক বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে জিয়াবুলকে কক্সবাজার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জিয়াবুল র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন গত ১৫ বছর তিনি চৌফলদন্ডী এলাকায় অস্ত্র ব্যবহারে দখল–বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। অবৈধ অস্ত্রের দাপটে তিনি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চিংড়ি ও লবণের ঘের, জমি দখল করে দিতেন। এ ছাড়া মাদক চোরাচালানসহ নানা অপরাধমূলক কাজ পরিচালনা করতেন তিনি।