সমাবেশে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান। শনিবার দুপুরে রংপুর নগরের পায়রা চত্বরে
সমাবেশে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান। শনিবার দুপুরে রংপুর নগরের পায়রা চত্বরে

ঢাকায় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে রংপুরে বিক্ষোভ-সমাবেশ

ঢাকায় জাতীয় পার্টির (জাপা) কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে রংপুরে দলটির নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। আজ শনিবার দুপুরে রংপুর জেলা ও মহানগর জাপার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

আজ দুপুরে রংপুর নগরের সেন্ট্রাল রোডের দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নগরের প্রেসক্লাব চত্বর, বেতপট্টি ও সুপারমার্কেটের সামনে দিয়ে পায়রা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘নাম না জানা দলের পেছনে পৃষ্ঠপোষকতা করে টিএসসির মোড় থেকে এসে রাতে পার্টি অফিসে আগুন দেবেন, এটা কিন্তু ঢাকা না ভাই, এটা রংপুর। রংপুর জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব। সেই অস্তিত্ব টিকে রাখার জন্য জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা আমরা সব সময় প্রস্তুত আছি।’

দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, ‘যখনই খবর পাবেন, তখনই পার্টি অফিসে হাজির হবেন। রাজপথে এই মোস্তাফিজার রহমানের বুকে গুলি লাগবে, তারপর অন্য কথা। আমরা চাই, দেশ একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাক। জাতীয় পার্টির লোকজনের আজ পর্যন্ত কোনো পার্টি অফিসে আগুন লাগানোর ঘটনা নেই। জাতীয় পার্টি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক দল। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে রাজনীতি করতে চাই। আপনারা মনে করবেন না, জাতীয় পার্টি দুর্বল, পোষা বিড়ালের মতো। ’৯১ ও ’৯৬-এর মতো আবার জাতীয় পার্টি গর্জে উঠবে।’

মোস্তাফিজার রহমান আরও বলেন, ‘রাজপথে দেখা হবে, রাজপথে স্লোগান হবে, রাজপথে রক্ত যাবে, রাজপথে মিছিল হবে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টিকে জীবিত রাখার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি, প্রস্তুত থাকব। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। রংপুর আমাদের ধমনিতে, যতক্ষণ পর্যন্ত রক্ত রয়েছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো চ্যালেঞ্জ গ্রহণ না করে আমরা ছাড়ব না।’

রংপুর-৩ (সদর) আসন ও সিটি করপোরেশনের ভবিষ্যৎ নির্বাচন নিয়ে মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘যাঁরা স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের উদ্দেশে বলি, স্বপ্ন দেখা ভালো। আসুন, নির্বাচনে মানুষের কাছে যাবেন, মানুষ যদি আপনাদের ভোট দেয়, তাহলে নির্বাচিত হবেন, আমরা আপনাদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করব।’

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও জেলার সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান হোসেন, হাসানুজ্জামান নাজিম, মাসুদ নবী প্রমুখ।