সেনাবাহিনী প্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বান্দরবানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার ও এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে সমন্বিত অভিযান শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার ও দুটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সন্ত্রাসীরা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলমান থাকবে।
আজ রোববার দুপুর ১২টায় বান্দরবান সেনানিবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাপ্রধান এ কথা বলেছেন। সেনাপ্রধান অভিযানের কার্যক্রম পরিদর্শন ও সমন্বয়ের জন্য বান্দরবান সেনা রিজিয়ন ও ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড সদর দপ্তরে এসেছিলেন।
রিজিয়ন সদর দপ্তর ও অভিযানসংক্রান্ত কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সেনানিবাসের হেলিপ্যাডে সেনাবাহিনী প্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, আগের অভিযানে কেএনএফকে সব ঘাঁটি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে শান্তি আলোচনার ছত্রচ্ছায়ায় তারা চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। সন্ত্রাসী কাজে যখন তারা জড়িয়ে পড়েছে, এখন সরকারের সামগ্রিক কৌশল অনুযায়ী সমন্বিত অভিযানে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা খুবই পরিষ্কার উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেছেন, জনগণের শান্তি ও দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য যা করার প্রয়োজন তা করতে হবে। সেই অনুযায়ী সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, আনসার বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান চলছে। অভিযানে গতকাল শনিবার দুটি অস্ত্র উদ্ধার ও কয়েকজন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, শান্তি আলোচনা নিয়ে তাদের বিশ্বাস করা হয়েছে। গত ৩১ মার্চ ইস্টার সানডে উপলক্ষে সেনাবাহিনীর রুমা জোন থেকে ৩৮টি কেক বিভিন্ন গির্জায় পাঠানো হয়েছিল। বেথেলপাড়ার সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কেক উপহার দেওয়া হয়। আর কেক বিতরণের এক দিন পর ২ এপ্রিল রুমায় সোনালী ব্যাংকে হামলা ও অস্ত্র লুটের ঘটনা ঘটিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
অভিযানের সবকিছু সমন্বয় করতে রিজিয়ন সদর দপ্তরে এসেছেন জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, সেটি সরকারের সমন্বিত কৌশলের ভেতরে মোকাবিলার জন্য সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। দায়িত্ব পালনে স্থানীয় কমান্ডের যা যা দরকার বিজিবি, র্যাব, আনসার ও পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় হচ্ছে। বেসামরিক প্রশাসনও দায়িত্ব পালন করবে। কারণ এটি একক কোনো কাজ নয়।