পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের পটিয়ায় ছুরিকাঘাতে চাচার হাতে খুন হয়েছেন ভাতিজা। নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ রাশেদ (২৩)। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার পূর্ব হাইদগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মোহাম্মদ রাশেদ হাইদগাঁও ইউনিয়নের মৃত জামাল মিয়ার ছেলে। পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ছিলেন তিনি। তাঁর দুই বছর ও ছয় মাস বয়সের দুই ছেলে রয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে তাঁর চাচা জালাল উদ্দিন (৩৮) পলাতক।
জালাল উদ্দিনের ছোট ভাই মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন গতকাল রাতে পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বড় ভাই জালাল উদ্দিন চট্টগ্রামে নগরে ভাড়া বাসায় থাকেন। রাত ৯টার দিকে তিনি বাড়িতে আসেন। এ সময় ভাতিজা রাশেদের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে জালাল ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর কোমর থেকে ছুরি বের করে রাশেদের গলায় আঘাত করেন। এতে রাশেদ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাইদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হেলাল উদ্দিন বলেন, ছোট বেলায় বাবা মারা যাওয়ার পর রাশেদের মা অন্যত্র বিয়ে করেন। ছোট থেকে দাদা-দাদির কাছেই বড় হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি দাদা রাজা মিয়ার সঙ্গে জমিজমা বিক্রি নিয়ে বিরোধ চলছিল রাশেদের। বিরোধ মীমাংসার জন্য ছেলে জালালকে বাড়িতে ডেকে পাঠান রাজা মিয়া। পরে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া বাধে। একপর্যায়ে জালাল ভাতিজা রাশেদকে ছুরিকাঘাত করেন।
রোগীর গলায় ধারালো ছুরিকাঘাতের প্রায় ১০ সেন্টিমিটার ক্ষত ছিল বলে জানান পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসক লিটন চৌধুরী।
এ বিষয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবু হাসনাত বলেন, পলাতক জালাল উদ্দিনকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।