মাদারীপুরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন তিন বন্ধু: পুলিশ

সৌদিপ্রবাসী এক ব্যক্তির স্ত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে দুই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার দুপুরে মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে
ছবি: প্রথম আলো

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় সৌদিপ্রবাসীর এক ব্যক্তির স্ত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন তিন বন্ধু। দুই বন্ধু গ্রেপ্তারের পর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি স্বীকার করেছেন। আজ রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় মাদারীপুর জেলা পুলিশ।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন শিবচর উপজেলার ভেন্নাতলা এলাকার আতিয়ার কাজী (৫০) ও একই এলাকার শহীদ মোল্লা (৪২)। তাঁরা দুজনই পেশায় ভ্যানচালক ও বন্ধু। এখনো পলাতক ঘটনায় অভিযুক্ত অপর বন্ধু বাবুল শিকদার (৪৫)। পুলিশ বলছে, তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

৩ মার্চ শিবচরের একটি গ্রাম থেকে এক সৌদিপ্রবাসীর স্ত্রীর (৩০) মুখ বাঁধা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত ওই গৃহবধূর ভাই বাদী হয়ে শিবচর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার ১৮ ঘণ্টার মধ্যে দুই বন্ধু আতিয়ার কাজী ও শহীদ মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার প্রথম আলোয় ‘রাতে ঘরে ঢুকে মুখ বেঁধে প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, সাত বছর আগে আতিয়ার কাজীর সঙ্গে ওই নারীর পরিচয় হয়। পরে দুজন শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এরপর আতিয়ারের অন্য দুই বন্ধুর সঙ্গে ওই নারীর শারীরিক সম্পর্ক হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে সৌদিপ্রবাসীর স্ত্রীকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেন তিন বন্ধু। সেই অনুযায়ী ওই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন তাঁরা। গ্রেপ্তারের পর দুই বন্ধুকে আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও ট্রাফিক) মনিরুজ্জামান ফকির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) মো. মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) আনিসুর রহমান প্রমুখ।