সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে যাত্রী নামানোর সময় পিকআপের ধাক্কায় দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় মানুষ ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকেরা প্রায় দেড় ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এসে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।
আজ শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার কায়স্থরাইল এলাকার মাঝামাঝি স্থানে দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত দুজন হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানার ধরমণ্ডল গ্রামের চান মিয়ার ছেলে তাহের মিয়া (২৫) এবং সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার কাইস্তঘাট গ্রামের বাসিন্দা আবদুল লতিফ (৪২)। তাহের অটোরিকশাটির চালক ও লতিফ যাত্রী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের চণ্ডীপুল থেকে হুমায়ুন রশীদ চত্বরের দিকে যাচ্ছিল। বেলা সোয়া ১১টার দিকে কায়স্থরাইল এলাকায় মহাসড়কের পাশে অটোরিকশাটি থেকে যাত্রী নামানো হচ্ছিল। এ সময় হুমায়ুন রশীদ চত্বরের দিক থেকে আসা একটি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের অপর পাশে থাকা অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। একটি মোটরসাইকেলকে পাশ কাটাতে গিয়ে পিকআপটি নিয়ন্ত্রণ হারায় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
দুর্ঘটনায় অটোরিকশার চালক ও তিন যাত্রী আহত হন। স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রথমে অটোরিকশার চালক তাহের মিয়া ও পরে যাত্রী আবদুল লতিফের মৃত্যু হয়। অপর দুই যাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে অটোরিকশাচালকের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর অটোরিকশাশ্রমিক ও স্থানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে দক্ষিণ সুরমার চণ্ডীপুল থেকে হুমায়ুন রশীদ চত্বর সড়ক অবরোধ করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পিকআপচালককে আটকের আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা অবরোধ তুলে নেন।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন কুমার চৌধুরী বলেন, ঘটনাস্থল থেকে পিকআপ উদ্ধার করা হলেও চালক পালিয়েছেন। এ ছাড়া সিএনজিচালিত অটোরিকশাটিও উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।