জামালপুরের বকশীগঞ্জে মামলা থেকে মহিলা লীগ নেত্রীর নাম বাদ দিতে আশ্বাস দেওয়ার অডিও ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় যুবদল নেতা মাহবুবুর আলমকে (লাভলু) কারণ দর্শনোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় যুবদলের সহদপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
গত শনিবার উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি জহুরা বেগমের সঙ্গে উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর আলমের মুঠোফোনে কথোপকথনের একটি অডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে মহিলা লীগ নেত্রীর নাম মামলা থেকে বাদ দিতে যুবদল নেতাকে প্রতিশ্রুতি দিতে শোনা যায়।
জহুরা বেগম বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সদ্য অপসারিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। গত ৪ আগস্ট বকশীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় ১ নভেম্বর ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন গোলাম মোস্তফা নামের এক বিএনপি নেতা। ওই মামলার ৩২ নম্বর আসামি জহুরা বেগম।
গতকালের নোটিশে বলা হয়েছে, ‘উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়কের মতো গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক দায়িত্বে থেকেও আপনি (মাহবুবুর আলম) সংগঠনের নিয়মবহির্ভূত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলে যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংগঠনবিরোধী এমন কর্মকাণ্ডের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা আগামী ২২ নভেম্বর এর মধ্যে যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সম্মুখে উপস্থিত হয়ে, লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হলো।’
এ বিষয়ে মাহবুবুল আলম বলেন, ‘আমি কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশ পাইনি। আমি খুব অসুস্থ। ওই বিষয়টিতে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’
তবে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মুঠোফোনে কথোপকথনের বিষয়ে ওই যুবদলের নেতাকে কেন্দ্র থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করেছে। সেই চিঠি আমার কাছেও আছে।’
২ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের ওই অডিওতে সালাম ও কুশল বিনিময়ের পর জহুরা বেগম বলেন, ‘এখন এটা (তাঁর নাম) কি চার্জশিট থেকে কাটা যাবে?’ উত্তরে মাহবুবুর আলম বলেন, ‘চার্জশিট থেকে কাটা যাবে। তখন আপনি যোগাযোগ কইরেন, কাইটে দিমুনি।’
এ বিষয়ে গত রোববার প্রথম আলোর অনলাইনে ‘মহিলা লীগ নেত্রীকে যুবদল নেতা বললেন, “চার্জশিট থেকে কাটা যাবে, যোগাযোগ কইরেন, কাইটে দিমুনি”’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।