কোটা বাতিলের দাবিতে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। আজ শনিবার দুপুরে রংপুর নগরের মডার্ন মোড়ে রংপুর–ঢাকা মহাসড়কে
কোটা বাতিলের দাবিতে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। আজ শনিবার দুপুরে রংপুর নগরের মডার্ন মোড়ে রংপুর–ঢাকা মহাসড়কে

কোটা সংস্কারের দাবিতে রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে পদযাত্রা, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার দুপুরে নগরের মডার্ন মোড়ে রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি চলে। এ সময় মহাসড়কের দুই পাশে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে একটি পদযাত্রা বের করা হয়। ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা মডার্ন মোড়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা পদযাত্রা করেন

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটাপ্রথা তাঁরা মানেন না। কোটার কারণে মেধাবীরা সঠিক মূল্যায়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কোনো মেধাবী শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ৮০ পেয়েও চাকরি পাবেন না আর কোটাধারীরা সহজেই চাকরি পাবেন, এ বৈষম্য সংবিধান–পরিপন্থী।

মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন—‘মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘কোটাপ্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘চাকরিতে কোটা, মানি না, মানব না।’

কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলেমেয়ে পর্যন্ত কোটা ঠিক ছিল। কিন্তু নাতি-নাতনিদের কোটার বিষয়টা অযৌক্তিক। ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী বাদে সব কোটা বাতিল করতে হবে। কোটা বহাল থাকলে দেশের মেধাবীরা দেশে চাকরি না পেয়ে বিদেশে পাড়ি জমাবেন। দেশে সরকারি চাকরি করার আগ্রহও হারাবেন। এতে দেশ আরও পিছিয়ে পড়বে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা কিছু সময়ের জন্য মহাসড়কে বিক্ষোভ করেছিলেন। পরে তাঁরা মহাসড়ক ছেড়ে চলে গেছেন।