কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পুকুরে মাটি কাটতে গিয়ে পাওয়া একটি মর্টার শেল গুপ্তধন মনে করে ঘরে আনেন এক দিনমজুর। বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসে মর্টার শেলটি উদ্ধার করে বিস্ফোরণের মাধ্যমে ধ্বংস করেছেন।
গতকাল রোববার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর (বাল্লক) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মর্টার শেলটি ধ্বংসে অংশ নেওয়া পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম মুর্তজা বলেন, মর্টার শেলটির দৈর্ঘ্য ১৪ ইঞ্চি। এর ওজন ১১ থেকে ১২ কেজি হবে। এটি যেকোনো সময় বিস্ফোরণ হতে পারত। ধারণা করা হচ্ছে, এটি স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় নিক্ষেপ করা অবিস্ফোরিত মোটর শেল (বোমা)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রামচন্দ্রপুর (বাল্লক) গ্রামের মোঙ্গল মিয়া নামের এক দিনমজুর স্থানীয় শিবার পুকুরে মাটি কাটার সময় পিতলের বোতলের মতো একটি বস্তু পান। তিনি গুপ্তধন মনে করেন মাটি কাটার বিরতিতে সেটিকে বাড়িতে নিয়ে যান। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় লোকজন বস্তুটিকে পাশের বাগানে রেখে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) ফোন করে পুলিশকে জানান। ব্রাহ্মণপাড়া থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার সত্যতা পায়। এ সময় বাগানে ফেলে রাখা মর্টার শেলটি নজরে রেখে পুলিশের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়। বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসে গতকাল সন্ধ্যায় অবিস্ফোরিত মর্টারশেলটি উদ্ধার করেন। পরে মাটিতে পুঁতে মর্টার শেলটি ধ্বংস করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মাহমুদুল হাসান, উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ সৌরভ হোসেন প্রমুখ।
ওসি শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল বলেন, ওই দিনমজুর মাটি কাটার বিরতিতে এটিকে গুপ্তধন মনে করে বোমাটি তার বাড়িতে নিয়ে যান। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় লোকজন এটি পাশের বাগানে রেখে পুলিশকে জানান। ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অবিস্ফোরিত বোমাটি উদ্ধার করা হয় এবং বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করা হয়।