খুলনা-৪ (রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আব্দুস সালাম মুর্শেদীসহ ৮৪ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রূপসা উপজেলার রামনগর গ্রামের বাসিন্দা বিএনপি নেতা খাইরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলাটি করেন।
এজাহারে ২০২২ সালের ২৫ আগস্ট দিঘলিয়ার পুটিমারী বটতলা মোড়ে বিএনপির কর্মসূচি শেষে ফেরার সময় নগরঘাট ফেরিঘাট এলাকায় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খাইরুল ইসলামের ওপর আক্রমণ চালিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় তেরখাদা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সরফুদ্দিন বিশ্বাসসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের ৮৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আক্তার মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২০২২ সালের ২৫ আগস্ট দিঘলিয়া ফেরিঘাট এলাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারীর (হেলাল) গাড়িবহরের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে গত মঙ্গলবার আব্দুস সালাম মুর্শেদীসহ ৬৮ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
গতকাল দায়ের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৫ আগস্ট দিঘলিয়া পুটিমারী বটতলার মোড়ে বিএনপির কর্মসূচি শেষ করে খুলনা শহরের উদ্দেশে রওনা হন বাদী (খাইরুল ইসলাম)। সন্ধ্যায় নগরঘাট ফেরিঘাট রাস্তায় পৌঁছালে সাবেক এমপি সালাম মুর্শেদীর নির্দেশে অন্য আসামিরা বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার ডান পাশে কোপ দেন। সালাম মুর্শেদীর পাশে থাকা মারুফাতুল মতিন ও নাজনীন আক্তারের নির্দেশে সেলিম রেজা বাদীর মাথায় রামদা দিয়ে আবার কোপ দেন। একজন আসামি বন্দুক তাক করে গুলি করেন, তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। অন্য আরেকজন বাদীকে মেরে ফেলার জন্য দৌড়ে এসে বোমা মারলে পাশের দোকানের ঝাঁপে বোমা বিস্ফোরিত হয়। এরপর কয়েকজন আসামি ওই এলাকায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। আসামিদের কয়েকজন রামদা, হকিস্টিক, লোহার পাইপ দিয়ে বাদীকে বেধড়ক পেটান এবং জীবননাশের হুমকি দিয়ে চলে যান।
মামলার বাদী খাইরুল ইসলাম জানান, ওই সময় পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় থানায় এসে মামলা করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে দুই বছর পর মামলা করেছেন।