সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর উপজেলার গাঁড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী জোমেলা খাতুনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন।
সাইফুল ইসলাম (৪৬) গাঁড়াদহ ইউনিয়নের মশিপুর গ্রামের শাহাদাত হোসেনের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২০ লাখ ও তাঁর স্ত্রী জোমেলার বিরুদ্ধে ৩৪ লাখ টাকার সম্পদ গোপন করার অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।
মামলার বিবরণে বলা হয়, প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনায় পাবনা সমন্বিত কার্যালয়ে ২০২৩ সালের ১২ মে সাইফুল ইসলামকে তাঁর নিজের, স্ত্রীর ও তাঁর ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, দায়দেনা, আয়ের উৎস ও সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সাইফুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রীর দাখিল করা সম্পদ বিবরণীর আলোকে তদন্ত করে মামলা দুটি করেছে দুদক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাইফুল ইসলাম সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর-অস্থাবর মোট ৩ কোটি ২০ লাখ ৭ হাজার ৮৫৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। একই সঙ্গে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ৩ কোটি ২০ লাখ ৭ হাজার ৮৫৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে রেখেছেন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অন্যদিকে সাইফুল ইসলামের স্ত্রী জোমেলা খাতুন সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর ও অস্থাবর মোট ৩৪ লাখ ৩০ হাজার ৭৯৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
জানতে চাইলে গাঁড়াদহ ইউপির চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুদক সম্পদের হিসাব চেয়েছিল। আমরা সঠিকভাবে জমাও দিয়েছি। এখন আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কি না, জানি না।’
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় পাবনার উপপরিচালক খায়রুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রীর আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে রেখে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। এ জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় এবং ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ দিয়ে সম্পদ অর্জনে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করায় দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় কমিশনের অনুমোদনক্রমে দুটি মামলা করা হয়েছে।