পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় নদীতে পাথর তোলার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে পলাশ হোসেন (৩৫) নামের এক পাথরশ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছেন। রোববার দুপুরে উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা বগুলাহাটি এলাকার করতোয়া নদীতে মেইন পিলার ৭৩৯-এর ১ আর এবং ২ আর পিলারের মাঝামাঝি স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
আহত পাথরশ্রমিক পলাশ উপজেলার বগুলাহাটি এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে।
করতোয়া নদীর বাংলাদেশি অংশে পাথর তোলার সময় ভারতের ১৯৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের গ্রীনগছ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যদের গুলিতে ওই পাথরশ্রমিক পেটে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিজিবি। বিজিবির পক্ষ থেকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে বিজিবি-বিএসফের পতাকা বৈঠক আহ্বানের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।
আহত শ্রমিকের পরিবার ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ভজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবির আলী বলেন, রোববার সকালে পাথরশ্রমিক পলাশসহ ১০ থেকে ১২ জনের একদল শ্রমিক প্রতিদিনের মতো করতোয়া নদীতে পাথর তুলতে যান। দুপুরে ভারতের গ্রীনগছ বিএসএফ ক্যাম্পে টহলরত সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পলাশ পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় অন্য শ্রমিকেরা তাঁকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকেরা।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক রাকিব উল হাসান বলেন, ‘বেলা তিনটায় ওই ব্যক্তিকে আমরা হাসপাতালে পাই। এ সময় তাঁর পেটের বাঁ দিকে গোলাকার ক্ষত দেখা গেছে। এমনকি ওই ক্ষত দিয়ে নাড়িভুঁড়ির কিছু অংশ বেরিয়ে এসেছে এবং রক্তক্ষরণও হচ্ছিল। পরে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. যোবায়েদ হাসান বলেন, নদীতে পাথর উত্তোলনের সময় ভারতীয় বিএসফের গুলিতে ওই শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক আহ্বানের প্রক্রিয়া চলছে।