খুলনা সিটি নির্বাচন  

নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করেনি আওয়ামী লীগ

খুলনা সিটি করপোরেশন ভবন
ফাইল ছবি

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের বাকি রয়েছে আর মাত্র দেড় মাস। কিন্তু এখনো কোনো নির্বাচনী তৎপরতাই শুরু করেনি খুলনা আওয়ামী লীগ। নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও ওয়ার্ড কমিটিও করা হয়নি। তবে কয়েক দিনের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির নেতা-কর্মীরা।

নগরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বলছেন, এবার আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। এ কারণে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় আওয়ামী লীগ অনেকটা নির্ভার। এ ছাড়া গত পাঁচ বছরে খুলনার অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগ অনেকটা এগিয়ে আছে। এ কারণে জয় অনেকটা নিশ্চিত মনে করে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী মাঠে নামতে গড়িমসি করছে।

মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু না করলেও মেয়র হিসেবে প্রাত্যহিক কাজ করে যাচ্ছেন তালুকদার আবদুল খালেক। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিচ্ছেন। ২৫ এপ্রিল খুলনা দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন তিনি, অংশ নেন শোভাযাত্রায়ও। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিটি করপোরেশনে অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। পরে তিনি একই স্থানে থাকা আরও দুটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।

আসন্ন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন তালুকদার আবদুল খালেক। এ নিয়ে পরপর চারবার তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র পদের জন্য মনোনীত হয়েছেন।

তালুকদার আবদুল খালেক খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান মেয়র। এর আগে ২০০৭ সালে আওয়ামী লীগ থেকে তাঁকে প্রথম মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। সেবার তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন। তবে ২০১৩ সালের নির্বাচনে তিনি জিততে পারেননি। ওই সময় বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের কাছে হেরে গিয়েছিলেন তিনি। সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে আবার হারানো পদ ফিরে পান তিনি। এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করবেন।

নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হতে দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন তালুকদার আবদুল খালেকসহ আরও তিনজন। দলীয় প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক মো. আশরাফুল ইসলাম, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খুলনা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম এবং মহানগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য রুনু রেজা (রুনু ইকবাল বিথার)। তবে দলীয় মনোনয়ন না পেলেও তাঁরা কেউ বিদ্রোহী হয়ে দলের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করবেন না বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন।

জানতে চাইলে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা যে শুরু করা হয়নি ঠিক তেমনটা নয়। এই নির্বাচনকে কোনোভাবেই ছোট করে দেখছে না আওয়ামী লীগ। ঈদের আগেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারণার কমিটি গঠনের জন্য বলা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হবে।

৩ এপ্রিল খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ওই তফসিল অনুযায়ী আগামী ১২ জুন নির্বাচন হবে। এ ছাড়া নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৬ মে, বাছাই ১৮ মে ও ২৫ মের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন প্রার্থীরা।