সিলেট নগরের নিচু এলাকার সড়কগুলো জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। আজ সকালে নগরের শাহজালাল উপশহর এলাকায়
সিলেট নগরের নিচু এলাকার সড়কগুলো জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। আজ সকালে নগরের শাহজালাল উপশহর এলাকায়

১১ দিনের ব্যবধানে চারবার ডুবল সিলেট নগরের নিচু এলাকা, দুর্ভোগে মানুষ

সিলেট নগরে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে আবারও নগরের নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। দুপুর ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছিল। এ নিয়ে আজ ১১ দিনের ব্যবধানে চতুর্থবারের মতো নগর প্লাবিত হলো।

এর আগে ২ জুন রাতে কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে নগরজুড়ে তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। তখন অধিকাংশ এলাকার পানি পরদিন নেমে যায়। তবে অন্তত ১২টি এলাকার পানি নামতে বেশ কিছুদিন সময় লেগেছিল। এ অবস্থায় ৮ জুন রাতে আবারও ভারী বৃষ্টিতে সিলেট নগরের শতাধিক এলাকা প্লাবিত হয়। পরে ১০ জুন আবারও বৃষ্টিতে কিছু এলাকা প্লাবিত হয়।

সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানান, আজ সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত সিলেটে ১০৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হয়েছে ৩৪৯ মিলিমিটার।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের উপশহর, তেরোরতন, সোনারপাড়া, সোবহানীঘাট, যতরপুর, মাছিমপুর ও তালতলা এলাকায় বৃষ্টির পানি জমেছে। কোথাও কোথাও হাঁটুসমান পানি। তবে উপশহর এলাকা বেশি প্লাবিত হয়েছে, অনেক বাসায় পানি ঢুকে পড়েছে। আজকের বৃষ্টিতে নগরের ১৫ থেকে ২০টি নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।

উপশহর এলাকার বাসিন্দা আকবর আলী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, বৃষ্টি হলেই উপশহর এলাকা তলিয়ে যায়। এতে এখানকার বাসিন্দারা এখন নিয়মিত দুর্ভোগে পড়েছেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে চারবার এই এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিল। এর স্থায়ী সমাধান করা উচিত সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে।

নগরের একাধিক বাসিন্দার মতে, যেহেতু বৃষ্টি হলেই বারবার নগরের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। তাই এর স্থায়ী সমাধানে নগরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত সুরমা নদী খনন, নগরের ছড়া ও খালগুলো পরিকল্পিতভাবে খনন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং সুরমা নদীর তীরে স্থায়ী সুরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন।

যোগাযোগ করা হলে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সিলেটে যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে প্রচুর পানি গড়াচ্ছে। ফলে জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। বৃষ্টি কমে গেলে পানিও নেমে যাবে। তবে নগর যেন জলাবদ্ধ না হয়, সে জন্য আরও কী করা যায়, সেসব বিষয় নিয়ে ভাবা হচ্ছে।