মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার পাচুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে বিদ্যালয়ের চারটি প্লাস্টিকের চেয়ার পুড়ে গেছে।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাঁরা বলছেন, মশার কয়েল বা বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ধারণা, দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগ করতে পারে। তবে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে জানে না ফায়ার সার্ভিস।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ ভোর চারটার দিকে ঘিওর উপজেলা সদরের কাছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে পাচুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তালাবদ্ধ বারান্দায় রাখা পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের চেয়ারে আগুন জ্বলতে দেখতে পান বিদ্যালয়ের দপ্তরি (নৈশপ্রহরী) মাসুম মিয়া। এরপর তিনি পানি ঢেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
নৈশপ্রহরী মাসুম মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যালয়ের একতলা ভবনের অফিসকক্ষে রাতে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। ভোর চারটার দিকে বিদ্যালয়ের ভবনের ভেতরে ধোঁয়া দেখে তিনি বারান্দায় গিয়ে চেয়ারে আগুন জ্বলতে দেখেন। এরপর পানি দিয়ে তিনি আগুন নিভিয়ে ফেলেন। আগুনের ধোঁয়ায় বিদ্যালয়ের দেয়াল কালচে হয়ে গেছে। তিনি বলেন, তালাবদ্ধ বারান্দার লোহার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে কেউ আগুন লাগিয়ে থাকতে পারেন। পরে তিনি বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জানান।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৌসুমী খানের ধারণা, দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগ করতে পারেন। তিনি বলেন, নৈশপ্রহরীর কাছ থেকে খবর পেয়ে সকালে তিনি বিদ্যালয়ে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। তবে মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপসহকারী পরিচালক আবদুল হামিদ বলেন, বিদ্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে তাঁর কাছে কোনো তথ্য নেই। ঘিওর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দলনেতা নূরুল আমিনও জানেন না বলে জানান।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে সকালে তিনিসহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিবালয় সার্কেল) মারুফা নাজনীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিদ্যালয় ভবনটি তালাবদ্ধ ছিল। মশার কয়েল বা বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট অথবা অন্য কোনোভাবে আগুন লাগতে পারে।